সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে অশ্রাব্য গালিগালাজের লাইভ-ভিডিও! গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়

বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তোয়াক্কা না করে রোদ্দুর রায়ের এমন অসংসদীয় ভাষা, যার জেরে সমালোচনার বয়ে ঝড় যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন জনৈক ঋজু দত্ত। পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন ছাত্রনেতা অরিত্র সাহা-সহ আরও অনেকে

দেরি হলেও অবশেষে গ্রেফতার “অসভ্য”, “পাগল”, “অসামাজিক” ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। মুখে একগাল কাঁচা-পাকা দাড়ি আর হাতে জ্বলন্ত বিড়ি নিয়ে দিনের পর দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অসভ্যতামি করছিলেন এই রোদ্দুর রায়। সর্বশেষ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনার নামে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। বাংলায় নোংরামে করে গোয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন রোদ্দুর। এবার সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে কিংবা ইউটিউব ভিডিও করে বিতর্ক তৈরি করে ফেমাস হওয়া ও টাকা রোজগারের ধান্দায় থাকেন এই রোদ্দুর রায়। এর আগে ২০২০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে নিয়ে কুৎসিত প্যারোডি বানিয়েছিলেন তিনি। রবি ঠাকুর সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। কলেজ ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছিলেন। আর সম্প্রতি ফেসবুকে প্রায় ঘণ্টার ঘন্টা দেড়েকের লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তাঁর কু-কথা থেকে বাদ পড়েননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজন ও কৃতীরাও।

বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তোয়াক্কা না করে রোদ্দুর রায়ের এমন অসংসদীয় ভাষা, যার জেরে সমালোচনার বয়ে ঝড় যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন জনৈক ঋজু দত্ত। পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন ছাত্রনেতা অরিত্র সাহা-সহ আরও অনেকে। গোটা রাজ্যজুড়ে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছিল সেই মামলার তদন্তে নেমেই আজ, মঙ্গলবার গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রোদ্দুর রায়কে।

এই “অসভ্য” ইউটিউবারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছিল। গোয়ায় গ্রেফতারের পর তাঁকে কলকাতায় আনার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, খতিয়ে দেখা হবে রোদ্দুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য সম্পত্তির পরিমাণও। রোদ্দুর নিজে থেকে এই সমস্ত আচরণ করতেন নাকি তাকে টাকা বা অন্যকিছুর বিনিময়ে কেউ বা কারা ইন্ধন দিত, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।