চায়ের দাম ২০ টাকা। আর তার সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা। শুনলেও অবাক লাগছে তাই না! কিন্তু দিল্লি থেকে ভোপালগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে দিনের পর দিন দিনে দুপুরে এমনই ডাকাতি চলছে।যা হাতে নাতে ধরলেন ট্রেনেরই এক যাত্রী।
আরও পড়ুন:অগ্নিপথ : স্থগিত রেখে আলোচনায় বসুন, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বলবেন সুদীপ
গত ২৮ জুন শতাব্দী এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন এক যাত্রী। চা পান করতে চেয়ে ট্রেনেই চায়ের অর্ডার দেন তিনি। যথাসময়ে গরম গরম চা-ও চলে আসে। কিন্তু বিল দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ! এ কী !চায়ের দাম ২০ টাকা। আর তার সার্ভিস চার্জ ৫০টাকা!এতো বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় অবস্থা! আইআরসিটিসি-র ইনভয়েসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ওই যাত্রী। এরপরই রীতিমত ভাইরাল হয়ে পড়ে তাঁর পোস্টটি।

ট্রেনযাত্রী বালগোবন্দি ভার্মা আইআরসিটিসি-র ইনভয়েসটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘২০ টাকার চায়ের উপর ৫০ টাকার কর। এত দিন শুধু ইতিহাস বদলাতো, এখন সত্যি দেশের অর্থশাস্ত্র বদলে গিয়েছে।’ এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

যদিও রেলওয়ে এই বিষয়ে কান দিতে নারাজ। অজুহাতের একাধিক গল্প তাদের কাছে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতেই, তাদের যুক্তি, যদি কোনও যাত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার সময়ই আগাম খাবারেরও বুকিং না করেন তা হলে ৫০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ ট্রেনে সফরের সময় কিছু কিনে খেতে হলে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ২০১৮ সালে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল তারা। বলা হয়েছিল, আগে থেকে বুকিং না করা থাকলে সফরের সময় যদি কোনও যাত্রীর চা, কফিও অর্ডার করেন তা হলেও ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ তাদের হিসেবমতো নিয়মে কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু ২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকার সার্ভিস চার্জ কী দিনে দুপুরে ডাকাতি নয়?