বীরভূমের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী জানান, দলের নীতি মেনে কোনও দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি।

দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, মানুষকে ঠকালে দলের সমর্থন নয়।এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে এজেন্সিগুলি। ইডি, সিবিআইয়ের নিরপেক্ষ ভূমিকা হারিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার এবং শনিবার জেলায় জেলায় দলের ছাত্র, যুব সংগঠন পথে নামবে।’
আরও পড়ুন : রাজ্যপালের পদ যেতেই ধনকড়-প্রীতি উধাও! উপরাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণে গেল না বঙ্গ বিজেপি

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গোরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। পরপর দশ বার অনুব্রতকে হাজিরার জন্য তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র একবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত। বারবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন সেটা ভালো চোখে দেখছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা।এদিন সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সিবিআই আধিকারিকদের ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। দরজা বন্ধ করে দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। এরপরই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অনুব্রতকে।
