বিলকিস বানো গণধ*র্ষণ মামলায় ১১ দোষীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, তিনি বিষয়টি তালিকাভুক্ত করার কথা বিবেচনা করবেন। প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধ*র্ষকদের গত ১৫ অগাস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।২০০২ সালের ঘটনায় মোট ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মুক্তি পায়। গোধরা কাণ্ডের পর বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে হত্যা এবং গর্ভবতী বিলকিসকে গণধ*র্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই ১১ জন। এর জেরে যাবজ্জীবন সাজা হয় তাদের। এই আবহে দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গোধরা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধ*র্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়৷ পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধ*র্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল৷ তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
