কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। কল্যাণী এইএমস যেহেতু কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান তাই এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত সিবিআই বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে করানো হোক, এমনই আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেয়, রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ওপরই আস্থা রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ হাইকোর্টে

প্রসঙ্গত, কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডি। সেই তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতিতে কাঠগড়ায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি বণ্টনের অভিযোগ দায়ের হয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ের দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। নীলাদ্রি-কন্যা মৈত্রী দানা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছেন মৈত্রী। সেই চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন সুভাষ সরকার, এমন অভিযোগ ওঠেছে।
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে মৈত্রীকে জেরা করেছেন সিআইডি কর্তারা। বিধায়ককেও তলব করা হয়। গয়েশপুরের এক বিজেপি নেত্রী সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, এইমসে চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দলের এক সাংসদ টাকা চান। এর পরই পদ হারান ওই নেত্রী। আরও এক বিজেপি কর্মী সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চিঠি লেখেন। কল্যাণী থানায় বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে এইমসে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়।


সম্প্রতি রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন হবিবপুরের এক যুবক। রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
