সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই বোর্ডকে তোপ লোধার

বিচারপতি লোধার অধীনেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে আমূল সংস্কার আসে, যেখানে বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে যাওয়ার কথা বলা হয়।

বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, আরও তিন বছরের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মসনদে থেকে যেতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। এমনকী সচিব পদে থেকে যেতে পারবেন জয় শাহও (Jay Shah)। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার রায় দেয় বোর্ড সভাপতি পদে সৌরভ এবং সচিব পদে জয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অর্থাৎ শিথিলতা আনা হল দু’জনের কুলিং অফ পিরিয়ডে। আর এই রায় বেরনোর পরেই বোর্ডের ওপর তোপ দাগলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মাল লোধা (Rajendra Mal Lodha)।

এই রায় নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে বিচারপতি লোধা বলেন, “ক্রিকেট প্রশাসকদের কাছে কুলিং-অফ ছিল বরফের পর্বতের মতো। যাকে ইচ্ছেমতো নড়ানো যাচ্ছিল না। তাই ওরা সঠিক আবহাওয়ার অপেক্ষা করছিল। আগেও বারবার এরকম হয়েছে।”

যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও লোধার প্রশ্ন “যদি একটানা দায়িত্বে থাকার পক্ষেই রায় দেওয়া হয়, তা হলে শুধু ১২ বছর কেন? এক টানা ক্ষমতায় থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে কুলিং-অফ রাখার দরকারই ছিল না।”

বিচারপতি লোধার অধীনেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে আমূল সংস্কার আসে, যেখানে বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে যাওয়ার কথা বলা হয়। আর কেন তাঁরা কুলিং-অফ এনেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি লোধা বলেন, “দুটো জিনিস মাথায় রেখেছিলাম আমরা। বোর্ডে যাতে কারও একাধিপত্য না তৈরি হয় এবং প্রশাসনে নতুন মুখ আসে সেই কারণে। কারণ একাধিপত্য দূর করতে যে কোনও প্রশাসনেই কুলিং-অফ দরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিলে যে কোনও জায়গাতেই কিছু ব্যক্তির একাধিপত্য তৈরি হবে। সমস্ত ক্ষেত্রের কথা মাথায় রেখেই এটা তৈরি করা হয়েছে। খেলাধুলো তার মধ্যে একটা।”

বিচারপতি লোধার অধীনেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে আমূল সংস্কার আসে। যেখানে তিন বছরের মেয়াদের পর বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে যাওয়ার কথা বলা হয়। অর্থাৎ রাজ্যসংস্থা বা বোর্ডের কোনও পদাধিকারী টানা দু’বার ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এই সংস্কারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বোর্ড।

আরও পড়ুন:টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম‍্যাচের সব টিকিট শেষ, জানাল আইসিসি