Friday, August 22, 2025

পুজোয় কেদারনাথ দর্শন হুগলির গুড়াপে

Date:

Share post:

১৯৪৭ সালের শরৎকাল। দেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে। হুগলি (Hoogli) দক্ষিণ গুড়াপের দুই যুবক কালীপদ কুমার ও চণ্ডীচরণ ঘোষ ঠিক করলেন দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) করবেন। সেই শুরু। দেখতে দেখতে ৭৫ বছর পার করল এই পুজো। দক্ষিণ গুড়াপ সার্বজনীন দুর্গাপুজোয় এবারের থিম ‘কেদারনাথ’।

সেই সময়ে প্রতিমা তৈরি করেন চণ্ডীচরণ নিজে। আর অর্থ যোগানের দায়িত্ব নেন কালীপদ। পাড়া ও গ্রাম থেকে সাধ্যমত চাঁদা তোলা হল। এছাড়া ধান ও অন্যান্য দ্রব্য সংগ্রহ করা হল। এই সময় সাহায্য করেছিলেন কালীপদর দুই বন্ধু বিশ্বনাথ গুঁই ও নীলপানি দে। এই বন্ধুরা কলকাতা থেকে চাঁদা তুলে দিয়েছিলেন। এই সব পুজোর নানা ইতিহাস ও গল্প জানান কালীপদ কুমারের পুত্র মোহনলাল কুমার। তিনি বলেন, তখন গুড়াপে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল কোন ডেকারেটার্স। কিন্তু যেটা ছিল তা হল অফুরান উৎসাহ। দেবদারু পাতার গেট করে, লাল নীল কাগজের সিকলি দিয়ে সাজানো হয়েছিল প্রথম পুজোর মণ্ডপ। এখন যে স্থায়ী মণ্ডপে মহামায়ার আরাধনা করা হয় সেটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে চাঁদা তুলে। আর জায়গাটি কেনা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। তার আগে পাড়ার বিভিন্ন স্থানে পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান পুজোর সিংহভাগ আয়োজন করেন জীবনকৃষ্ণ কুমার। জীবন বললেন প্রথম দিকে পুজো করতেন জীতেন গঙ্গোপাধ্যায় ও রামধর্মা মুখোপাধ্যায়। আর সবটা আয়োজন করতেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী, শিবরাম সেন, বলরাম সেন, লক্ষ্মীকান্ত ও তারাপদ ঘোষ। এই পুজো এখন গ্রামের অন্যতম দুর্গাপুজো ডেস্টিনেশনে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে বাড়তে পারে ডেঙ্গি, পুজোতেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে

spot_img

Related articles

অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস নয়, ওয়ার্নিং নুসরতের!

অঙ্কুশ হাজরার 'গোবিন্দ দাঁত মাজে না' আর কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের 'ডাকাতিয়া বাঁশি'র পর থেকে উইন্ডোজের সিনেমায় আইটেম ডান্স বা...

সুপ্রিম রায়ে বদল: জোর পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণ ও প্রতিষেধকে, রয়েছে ব্যতিক্রমও

দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে রায় বদল করল শীর্ষ আদালত। আগের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ৩...

শিল্পপতি স্বরাজ পলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর

৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত অনাবাসী শিল্পপতি তথা সমাজসেবক লর্ড স্বরাজ পল (Lord Swaraj Paul)। লন্ডনে থাকলেও দেশের প্রতি...

কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য! কেন ভাদ্রমাসেই এই পুজো হয়

আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amabasya)। ভাদ্র মাসের অমাবস্যায় এই পার্বণ অত্যন্ত পুণ্যদায়ী এবং পবিত্র৷ শুক্রবার সকাল ১১.৫৫ মিনিটে...