স্প্যাম অ্যাকাউন্ট নিয়ে ‘সমস্যা’ ছিলই। এই আবহে এবার আশঙ্কা সত্যি করে ইলন মাস্ক জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি টুইটার কিনবেন না। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে টুইটারের চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘টুইটারের বোর্ড মাস্কের সঙ্গে সম্মত হওয়া মূল্য এবং শর্তাবলীর উপর লেনদেন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তি কার্যকর করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ড। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ডেলাওয়্যার কোর্ট অফ চ্যান্সারিতে জয়ী হব।’

এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, স্প্যাম অ্যাকাউন্ট কত আছে? তা যাচাই করে নথি না পাওয়া পর্যন্ত টুইটার কেনার চুক্তি স্থগিত রাখাবেন তিনি। টেসলার কর্ণধার এই নিয়ে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘স্প্যাম বা ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা সত্যিই টুইটারের মোট ব্যবহারকারীর পাঁচ শতাংশের কম।
এপ্রিল মাসেই ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন টেসলার কর্ণধার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩,৬৭২ কোটি টাকা। এর আগে মাসের শুরুতেই টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কেনেন ইলন। টুইটারের বোর্ডেও ইলন যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দিনকয়েক পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন ইলন। তারপর শেয়ারপিছু ৫৪.২ ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার কর্ণধার।

মাস্কের ৪,৪০০ কোটি ডলারের টুইটার চুক্তির সময় প্রায় ১,২০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে আছে মর্গ্যান স্ট্যানলি, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা এবং বার্কলে। বৃহৎ ব্যাঙ্কগুলি ছাড়াও মিৎসুবিশি, বিএনপি পরিবা, মিজুহোর ঋণদানকারী সংস্থাগুলিও মাস্কের সংস্থাকে ঋণ দিয়েছিল।টুইটার চুক্তি থেকে মাস্ক বেরিয়ে আসার ফলে ব্যাঙ্কগুলি বিপাকে পড়েছে।
