আজ শুক্লা চতুর্দশীতে ‌তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস, মাকে বসানো হয় পশ্চিম দিকে মুখ করে !

সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মূল মন্দিরে। স্নান করিয়ে পরানো হবে নতুন সাজ। নতুন করে হবে অভিষেক।

শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে মা তারার আবির্ভাব দিবস। আজ শনিবার মা তারার আবির্ভাব দিবসে তারাপীঠে হচ্ছে বিশেষ পুজো। প্রথমে মা তারাকে গর্ভগৃহ থেকে বিশ্রাম খানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মা‐কে স্নান করানোর পর রাজবেশে সাজানো হয়। সেখানে মায়ের শীতল আরতি হয়। বিশ্রাম খানায় সারাদিন ধরে চলবে পুজো। এই দিনে মা‐কে ভোগ দেওয়া হয়না, সেবাইতরাও উপবাসে থাকেন।

এদিন সকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড়। কথিত আছে, শারদীয় চর্তুদর্শীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যেমে মা তারাকে দেখতে পান। সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তি দীর্ঘকাল শ্মশানের শ্বেত শেমূলের গাছের মাটির নিচে ছিল।পরে বনিক জয় দত্ত সদাগর সেই মূর্তি তুলে মা কে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটি তাই মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসাবে পালিত হয়।

আজ কী কী ভোগ হয় মায়ের জন্য?
সকালে মঙ্গলারতির পর দেওয়া হয়েছে শীতল ভোগ। এরপর দুপুরে ফল ভোগ। এদিন দুপুরে কোনও অন্নভোগ রান্না হয় নি৷ রীতি অনুযায়ী মায়ের আজ উপোস! দিনভর তাই ফল-মিষ্টিই খান মা। মহাভোগ তোলা থাকে রাতের জন্য! মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না বলে, এদিন মন্দিরের সেবায়েতরাও অন্ন ছোঁন না। দুপুরে তারা মাকে কোনও অন্নভোগ দেওয়া না হলেও, দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে রাতের ভোগের প্রস্তুতি। সন্ধ্যায় বিশ্রাম মঞ্চেই করা হবে আরতি । 

সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মূল মন্দিরে। স্নান করিয়ে পরানো হবে নতুন সাজ। নতুন করে হবে অভিষেক। আবার শুরু হবে আরতি। রাতে মাকে দেওয়া হবে অন্ন ভোগ। যাকে বলা হয় মহাভোগ। রাতে মায়ের কাছে অন্নভোগ নিবেদন করার পরই উপবাস ভাঙবেন সেবায়েতরা।

তারাপীঠের মা কখনও পুজিতা হন দূর্গা আবার কখনও অন্নপূর্ণা রূপে। এই দিনে মাকে কাছ থেকে দেখতে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের ভক্তরা।আবির্ভাব দিবসে তারা মায়ের বিশেষ পুজো উপলক্ষে এবারও আঁটোসাটো নিরাপত্তা এলাকা জুড়ে।

Previous article‘নিখোঁজ’ সানি দেওল! পোস্টারে ছয়লাপ পাঞ্জাব
Next articleবুমরাহ-এর পরিবর্তে কে? ইঙ্গিত দিলেন বোর্ড কর্তা