মোদি জমানায় বাড়ছে কৃষক মৃত্যু, বলছে সরকারি রিপোর্ট

ক্ষমতায় এসেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি, তা বলছে সরকারি রিপোর্ট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিদিন অন্তত ১৫ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন! কৃষি ক্ষেত্রে আত্মহত্যার সংখ্যার সঙ্গেই পাল্লা দিচ্ছে আত্মঘাতী ক্ষেতমজুরের সংখ্যাও।

আরও পড়ুন:যোগীরাজ্যে অতিবৃষ্টির জেরে আত্মঘাতী কৃষক

‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো’-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্টেই রয়েছে কৃষক এবং ক্ষেতমজুরদের আত্মহত্যার ওই পরিসংখ্যান। যা গত বছরে দেশের মোট আত্মহত্যার পরিসংখ্যানের ৭ শতাংশেরও বেশি।রিপোর্ট বলছে , ২০২১ সালে ‘কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত, এমন মোট ১০ হাজার ৮৮১ মানুষ আত্মহত্যা করেছেন । এঁদের মধ্যে ৫৩১৮ জন কৃষক এবং ৫৫৬৩ জন কৃষিশ্রমিক। এঁদের মধ্যে ২১১ জন মহিলাও আছেন। দেশে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ, ৬৪ হাজার, ৩৩।’

গবেষণা বলছে, এই যে ৫৩১৮ জন কৃষক ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৪৮০৬ জনের নিজস্ব জমি ছিল। ৫১২ জন চাষ করতেন লিজ নেওয়া জমিতে বা অন্য কারও জমিতে। ফলে নিজের জমি থাকা কৃষকেরাই যে বেশি বিপদে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

মোদি সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হিসেব করলে এই সংখ্যাাটা দাঁড়ায় প্রায় ৫৩ হাজারে। কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত এতগুলো মানুষ আত্মহত্যা করেছেন এই চার বছরে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

এ প্রসঙ্গে সরকারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণের বোঝা তো রয়েইছে, পাশাপাশি অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির জেরে কৃষিক্ষেত্রে রজগার হারিয়েছেন বহু মানুষ। ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।

Previous articleকাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহেরু: তোপ শাহের, ‘মিথ্যার সুপার স্প্রেডার’ পাল্টা কংগ্রেস
Next articleহড়পা বানের ভয়ঙ্কর ঘটনার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী,শুরুতেই যাবেন মালবাজার