আপাতত জেলবন্দি বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু অনুব্রত নয়, একের পর এক মামলায় তৃণমূল নেতাদের কার্যত পিছনে পড়ে গিয়েছে ইডি-সিবিআই। কিছু মামলার সারবত্তা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এজেন্সি লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ।

সেই প্রেক্ষিতে বারবার ফের একবার মুখ খুললেন বীরভূমে তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়। আজ, সোমবার রামপুরহাটে নিজের সংসদীয় এলাকায় দাঁড়িয়ে শতাব্দী বললেন, “যতই কিছু হোক, পশ্চিমবঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই থাকবে।” একই সঙ্গে সাংসদ জানালেন, মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াই হবে তাঁদের মূল লক্ষ্য।

এদিন রামপুরহাটে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান থেকে বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী দাবি করেন, “সামনে ২০২৪ সাল। লোকসভা নির্বাচন। সেই কারণেই ২০২৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে নানা ঘটনা ঘটবে। নানা কাণ্ড, নানা মিথ্যা প্রচার হবে। কুৎসা হবে। কিন্তু আমাদের লড়াই করতে হবে।” আসলে একাধিক মামলায় তৃণমূল নেতাদের নাম জড়ানো, তাঁদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গেই যে শতাব্দীর এমন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “কিছু দিন পর পঞ্চায়েত ভোট। তারপর লোকসভা ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রাজ্যের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন, তা রক্ষা করছেন। আমাদের কর্তব্য, তাঁকে সমর্থন করা। শুধু নিজেদের কাজ করে যাওয়া। যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার ঠিকঠাক পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের ভালবাসাই আসল ভোটবাক্স।নযে যে পদে থাকবেন, তাঁকে তাঁর নিজের কাজটুকু দায়িত্ব সহকারে করতে হবে। তাই বলছি, যে যা-ই বলুন, পশ্চিমবঙ্গ মমতারই থাকবে।”

আরও পড়ুন- আল কা*য়দা জঙ্গি সন্দেহে জম্মুতে গ্রেফতার বাংলার যুবক
