Thursday, August 28, 2025

সিঙ্গুর অনশনের ১৬ বছর, অতীত স্মরণ করে টুইট মমতার

Date:

Share post:

বাম শাসনের বিরুদ্ধে কৃষকের(Farmer) অধিকার রক্ষায় ২০০৬ সালের ৪ ডিসেম্বর কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে অনশনে(Hunger Strike) বসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর সেই আন্দোলনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসন। সেই সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৬ বছর পূর্তিতে অতীত স্মরণ করলেন আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখলেন, “লড়াইয়ের সেই আগুন আজও আমার মধ্যে জ্বলছে। ভয় দেখিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না কোনওদিন।”

সিঙ্গুর অনশনের বর্ষপূর্তিতে রবিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে সিঙ্গুরের কৃষক ও গোটা দেশের জন্য আমি আমার অনশনের লড়াই শুরু করেছিলাম। শক্তির কাছে যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক কর্তব্য ছিল। লড়াইয়ের সেই আগুন এখনও আমার মধ্যে জ্বলছে। আমি কোনওদিন ভয় দেখিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।” উল্লেখ্য, সিঙ্গুরে টাটার কারখানায় জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের জমি অধিগ্রহন নীতির বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, জোর করে জমি নেওয়া যাবে না। কোনওভাবেই কৃষক স্বার্থকে পায়ে ঠেলা যাবে না।

এরপর সিঙ্গুরের বিপুল সঙ্খ্যক মানুষের সমর্থন নিয়ে ৪ ডিসেম্বর অনশনের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্টের তীব্র নিন্দায় পথে নামে ছাত্র-যুব থেকে অশীতিপর বৃদ্ধও। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল টানা দু বছর ধরে লাগাতার চলে আন্দোলন। প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে ২০০৮ সালের অক্টোবরে সিঙ্গুর ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন রতন টাটা। লাগাতার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনের পথ ধরে ২০১১ সালে এরাজ্যে হয় পালাবদল। ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...