Thursday, November 13, 2025

বাড়ি বসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমার সুবিধা, পেনশনভোগীদের জন্য নয়া উদ্যোগ রাজ্যের

Date:

Share post:

বছর শেষে ব্যাঙ্কে গিয়ে পেনশনভোগীদের(Pention Holder) লাইফ সার্টিফিকেট(Life Certificate) জমা দেওয়ার হয়রানি আর নয়। পরিবর্তে ব্যাঙ্কের কর্মীরা আসবেন পেনশনভোগীদের দুয়ারে। প্রবীণ নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অসুবিধা কাটাতে এবার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্যসরকার(State Govt)। কেন্দ্র সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংক(Reserve Bank) কর্তৃপক্ষের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে শীঘ্রই মিটতে চলেছে পেনশনভোগীদের দুর্ভোগ।

শুক্রবার নবান্নে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠক শেষে অমিত মিত্র বলেন, “কেওয়াইসি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষকে এভাবে কেওয়াইসি নিয়ে হয়রান করা যাবে না। লাইফ সার্টিফিকেট ফর পেনশন প্রতি বছর দিতে হয়। বয়স্ক মহিলারা কি করে ব্যাংকে যাবেন? তাই আমরা বলেছি ডোর স্টেপে ব্যাঙ্কিং করতে।” পাশাপাশি অমিত মিত্র প্রশ্ন তোলেন, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা কেন প্রবীণ গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন না? তিনি জানান, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের কাছে তিনি অনুরোধ রেখেছেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পরবর্তীকালে অন্য রাজ্যও এই নীতি অনুসরণ করবে বলে মনে করেন অমিত।

এদিকে, ব্যাংকের কেওয়াইসি ব্যবস্থারও সরলীকরণ করার দাবিতে সরব হয় রাজ্য সরকার। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের তরফে বলা হয়, সমস্তরকম প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পরেও ই-মেল আসছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে বহু মানুষ অসুবিধায় পড়ছেন। অমিত মিত্রর দাবি, ভারতের কোনও রাজ্য আজ পর্যন্ত কেওয়াইসির অসুবিধা নিয়ে সরব হয়নি। এছাড়া এদিনের বৈঠকে প্যান কার্ড তৈরির সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। রাজ্যের তরফে বলা হয়, তাঁতিদের এবং হস্তশিল্পীদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। কারণ, আবেদনকারীদের অনেকেরই প্যান কার্ড নেই। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। তাই প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক হওয়ার নিয়মে বদল আনার দাবি করা হয়েছে।

এদিন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়েও ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চেপে রাখেননি অমিত। তিনি বলেন, “অনেক বাধা বিঘ্ন এড়িয়ে ব্যাঙ্ক প্রায় ৩৭,৭৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পাওয়া গেছে। ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাতিলের সংখ্যা অনেক বেশি। ২১ হাজার জনের স্টুডেন্ট কার্ড তো অবিলম্বে দেওয়া উচিত।” অমিত মিত্রের দাবি, ওই আবেদনকারীদের যাবতীয় নথিপত্র রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ২১ হাজার জনকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন হওয়ার কথা।

spot_img

Related articles

আধার কার্ডকে শিখণ্ডী করে নাম বাদের ফন্দি! আইনি লড়াই – গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের 

বিস্ফোরক তথ্য। আধার-কার্ডকে শিখণ্ডী করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদের ফন্দি চলছে। নেপথ্যে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যারা...

KIFF: সমাপ্তির বিষাদ ভুলে চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে সিনে দশমীর বর্ণময় অনুষ্ঠানের জৌলুস 

শহরে এসেছিল দেশ বিদেশের ছবি। এক সপ্তাহ ধরে জমল সিনে আড্ডা। নানা ভাষার সিনেমা দেখে উচ্ছ্বসিত সাধারণ দর্শক...

লাদাখে চালু হল বিশ্বের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি

১৩,৭০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে বিশ্বের সেরা সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরী হল এবার লাদাখে। লাদাখের চাংথাং নিওমা বিমানঘাঁটি বুধবার বায়ুসেনা...

আগামী বছর আরও বড় কিছু করব-Big Jump: “জনগণের উৎসব Kiff”-র সমাপ্তিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর 

“আমরা আগামী বছর আরও বড় কিছু করব…Big Jump“-৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আচমকা হাজির হয়ে...