মনে অদম্য জেদ! যেনতেনভাবে পড়াশুনো করতেই হবে।তাই শত বাধা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সাহস করে হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা দিলেন সদ্যোজাত সন্তানের মা। চিকিৎসক এবং পুলিশের নজরদারির মধ্যেই পরীক্ষা দেয় নাবালিকা।
আরও পড়ুন:নির্বিঘ্নেই শেষ হল এবারের প্রথম দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা

১৪ বছর বয়সেই মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকার কুম্ভিরা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় সেরিন সুলতানার । তারমধ্যেই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সেরিনা।তারপরও হাল ছাড়েনি। পরীক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছিল সে। তাই শত বাধা সত্ত্বেও পরীক্ষা দিতে পিছুপা হয়নি।
গত শনিবারই মালদা মেডিক্যাল কলেজে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় ১৬ বছরের সেরিনা।বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে পরীক্ষা। অগত্যা একরত্তিকে নিয়ে হাসপাতালের বেড়েই পরীক্ষা দিলেন মা। মাধ্যমিক পরাক্ষার্থীর এই জেদকে কুর্ণিশ জানিয়েছে তাঁর গ্রামের সকলেই।
সেরেনার ননদ মমতাজ খাতুন জানান, গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেরেনা। এরপর পুত্র সন্তান হয়। তবে সেই অবস্থাতেই মনের জোর নিয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছে। নিজেই সে বলেছিল পরীক্ষা দিতে চাই। ননদ হিসাবে আমার খুব ভালো লেগেছে। বেডে বসে সন্তান নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আমি খুব আনন্দিত। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি ওর পাশে সবসময় থাকব।
