Friday, August 22, 2025

উদ্বেগ বাড়িয়ে অ্যা*ডিনোভা*ইরাসে আক্রান্ত শিশুমৃ*ত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ল

Date:

Share post:

অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্যমহলে। রাজ্যে বেড়েই চলেছে শিশুমৃত্যু। সোমবারের পর মঙ্গলবারও ফের শিশুমৃত্যু অব্যাহত। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজেই দুজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদের মধ্যে একজন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগের চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। তবে শিশুটির অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)-এ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে এবং তার পর শারীরিক অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির।

আরও পড়ুনঃখু*নের অভিযুক্তকে এনকা*উন্টারে মা*রল যোগীরাজ্যের পুলিশ

এই নিয়ে শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শহরের হাসপাতালে পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যে। গত তিন দিনে যে পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স দু’বছরের নীচে। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল কলেজে যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ৬ মাস। নাম আদিত্য দাস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জন্ম থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল ওই শিশুর। হৃদযন্ত্রে ছিদ্র থাকায় চিকিৎসা চলছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই সে হাসপাতালে ভর্তি। ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আদিত্যের শরীরে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল, ঠাণ্ডা লাগা এবং সর্দিকাশিও হয়েছিল ।
সোমবার রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও একটি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বাচ্চাটির জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকলেও তার শরীরে অ্যাডিনোভাইরাসের কোনও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মোট তিনজন শিশুর। তাদের মধ্যে একজন নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। সে মাত্র দু’মাস বয়সি।

রাজ্যে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আগেই সতর্ক করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর।রাজ্যের সব হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ‌্যভবন সূত্রে খবর, অসুস্থ বাচ্চাদের চাপ সামাল দিতে বাঙুরের পর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৫০টি শয‌্যা শিশুদের জন‌্য বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও হাসপাতালে যেন অক্সিজেনের অভাব না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পেডিয়াট্রিক ও নিওনেটাল বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছাড়া ছুটি নেওয়া যাবে না। কেউ ছুটি নিলে তার বদলে কে থাকবেন তা এমএসভিপি বা সমমর্যাদার আধিকারিককে জানাতে হবে। জ্বর-তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে কোনও শিশু আসলেই যেন সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয়। জেলা থেকে রেফার কমাতে হবে।

 

 

spot_img

Related articles

সোনা জয়ী অভিনবকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়র (Asian Shooting Championship) এয়ার রাইফেল বিভাগে বাংলার অভিনব সাউয়ের (Abhinaba Shaw)। তাঁর এই সাফল্যই...

পুজোর আগে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল! পরিবর্তন হল ৬ জেলার এসপি-ডিসি

পুজোর মুখে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে বড়সড় রদবদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একাধিক জেলায় পুলিশ...

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...