দুই অস্বাভাবিক মৃত্যু শিলিগুড়িতে (Siliguri) ও বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে। শিলিগুড়ির Group C কর্মী দিলীপ বিশ্বাসের এবং মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কোগ্রাম গ্রামের ছাত্রী রিয়াঙ্কা ঘোষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্কুলের গ্রুপ-সি পদে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। তার জেরেই নাকি এই ঘটনা। রিয়াঙ্কার মা চাকরি খুইয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে রিয়াঙ্কার মামা কৌশিক ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে CBI। আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি পদে চাকরি খুইয়ে ছিলেন জলপাইগুড়ির দিলীপ বিশ্বাস।

বছর ৪৫-এর দিলীপ বিশ্বাস ২০১৮-য় গ্রুপ সি পদে চাকরি পান। জলপাইগুড়ির দোমহনির বাসিন্দা দিলীপ থাকতেন শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায়। রবিবার রাতে বুকে ব্যথা হচ্ছিল বলে এক বন্ধুকে জানান। সোমবার সেই বন্ধু এসে ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেননি। খবর পেয়ে যান স্থানীয় কাউন্সিলার প্রশান্ত চক্রবর্তী। পৌঁছয় পুলিশ। দরজা ভেঙে দেখা যায় মশারির সঙ্গে জড়ানো প্রাণহীন দেহ মেলে। বন্ধুর অভিযোগ, অবসাদ ও টেনশনেই মৃত্যু।

রিয়াঙ্কার মা বিভা ঘোষ বীরভূমের লাভপুর সত্যনারায়ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ক্লার্ক পদে গত কয়েক বছর চাকরি করছিলেন। বাতিল হওয়া ৮৪২ জন গ্রুপ সি কর্মীর তালিকায় বিভার নাম রয়েছে বলে খবর। রবিবার দুপুরে রিয়াঙ্কার বাবা খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে রিয়াঙ্কার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, মায়ের চাকরি চলে যাওয়ার জন্য মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে, এই তত্ত্ব মানেননি দাদু সঞ্জীবকুমার শীল। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
