এবার ‘দুয়ারে সরকারে’ একাধিক নতুন পরিষেবা! নবান্নে বিশেষ বৈঠক মুখ্যসচিবের

চলতি বছরেই প্রথম রাজ্যের প্রতিটি বুথে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হবে। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ১ লক্ষ শিবিরের কর্মসূচি স্থির করা হয়েছে। আর শুক্রবার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েই বিশেষ বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

শনিবার থেকেই রাজ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ওই ক্যাম্প থেকেই মিলবে ৩২ প্রকল্পের সুবিধা। বিভিন্ন সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুযোগসুবিধা সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই চলতি বছরেই প্রথম রাজ্যের প্রতিটি বুথে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হবে। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ১ লক্ষ শিবিরের কর্মসূচি স্থির করা হয়েছে। আর শুক্রবার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েই বিশেষ বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। এদিনের বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব জানান, শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। চলতি বছর এই কর্মসূচী থেকে ৩৩টি সরকারি পরিষেবার সুবিধা দেওয়া হবে। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, চলতি বছর থেকেই দুয়ারে সরকারে যুক্ত হচ্ছে চার নতুন পরিষেবা। বিধবা পেনশন, মেধাশ্রী, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড ও ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের জন্য কৃষি সেচ যোজনা, এই চার নতুন প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী সহ রাজ্য সরকারের ১৭ দফতরের পরিচালিত ৩৩ টি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে।

মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, দুয়ারে সরকার শিবিরে সাধারণ মানুষ ১০ তারিখ পর্যন্ত আবেদন জানাতে পারবেন। আর তারপরই জমা পড়া সব আবেদন খতিয়ে দেখে ১১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে জনসাধারণের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যস্তরে একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল ১৮০০-৩৪৫-০১১৭ এবং ০৩৩-২২১৪-০৫১২। পাশাপাশি কর্মসূচি চলাকালীন রাজ্যজুড়ে মোট ৪৭৩টি কন্ট্রোল রুম এবং ব্লক, জেলা ও রাজ্যস্তরেও রাখা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। অন্যদিকে, দুয়ারে সরকার শিবির সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে শীর্ষস্তরের প্রশাসনিক আমলাদের নিযুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন শিবির পরিদর্শনের জন্য ইতিমধ্যে ৪৪ জন আইএএস আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, গত পাঁচবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকে রাজ্যে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার শিবিরের মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি মানুষকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রথমবার ক্যাম্পে থাকবে অভিযোগ বাক্স (Complaint Box)। আর এর ফলে কাউকেই শিবির থেকে ফেরানো যাবে না। অন্যদিকে এদিন মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্সেরও (Task Force) বৈঠক হয়। এদিনের বৈঠকে পর্যটন-নীতি থেকে শুরু করে বাংলা ডেয়ারি ব্র্যান্ডের উন্নয়ন বা সামুদ্রিক পণ্য-খাদ্যের বিকাশের ক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।

 

 

Previous articleস্বেচ্ছাবসরের আবেদন প্রাথমিক দুর্নীতির তদন্তে সিট সদস্যের, কী বললেন বিচারপতি?
Next articleঅভিনয়ে নামছেন প্রসেনজিৎ- পুত্র, বিদেশী মঞ্চে প্রথম পারফরমেন্স তৃষাণজিতের !