আগামী সপ্তাহে কি বাড়ির বাইরে বেশিক্ষণ থাকার চিন্তা করেছেন, তাহলে এখনই পরিকল্পনা বদলে ফেলুন। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল সকালে খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে না বেরোনোর পরামর্শ হাওয়া অফিসের কর্তাদের (Weather Alert)। রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা (Heat Wave Warning)জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)।

বছর শেষের তীব্র গরমে পুড়তে হবে বঙ্গবাসীকে। বর্ষবরণে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া কর্তারা। আগামী পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year)পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal)দু’এক জেলায় খুব সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই হালকা করে ফ্যান চালাতে শুরু করেছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই এসি চলছে সর্বত্র। মাঝে দু একবার অকালবৈশাখীর দেখা মিললেও তাতে যে গরম কমেনি তা স্পষ্ট। এবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও।

পশ্চিমের জেলাগুলি-সহ উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে এই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। সঙ্গে উত্তরের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী রবিবার পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে তাপমাত্রা বাড়বে। বাংলার ৬ থেকে ৭ জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বা তারও বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আগামী সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন এক বা দুই ডিগ্রি করে বাড়বে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার মহানগরীর তাপমাত্রা গড়ে ৩৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।

আলিপুর – ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দমদমে – ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সল্টলেক -৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাঁকুড়া- ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আসানসোলে -৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
শ্রীনিকেতনে -৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মালদহ- ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী সপ্তাহ জুড়ে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কমলেও পশ্চিমের রাজ্যের মতো শুষ্ক পরিবেশ তৈরি হবে। তাই জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বেশি করে জল খাওয়ার পাশাপাশি সুতির পোশাক পরা দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং এ আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
