Sunday, August 24, 2025

চাকরি খারিজের আগে চাকরিরতদের কথা কেন শোনেননি? সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Date:

Share post:

এসএসসির গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা নিয়ে আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত সবক’টি মামলার একত্রে শুনানি চলছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৬ এপ্রিল। আইনজীবীদের একাংশের ব্যাখ্যা, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল এবং নতুন করে কাউন্সেলিং সংক্রান্ত যে সব নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, সেগুলিতেই স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। ফলে ইডি বা সিবিআই এক্ষেত্রে যেমন তদন্ত করছে, সেই কাজ তারা চালিয়ে যাবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফের বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ আদালতে প্ৰশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।

এদিকে, চাকরি হারানো শিক্ষকদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং পি এস পাটওয়ালিয়া প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কারও বক্তব্য না শুনে তাদের চাকরি খারিজ করে দিতে পারেন? কিভাবে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে দাঁড়িয়ে শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ তাঁর যুক্তি, “পাঁচ বছর আগে আমার মক্কেলরা পাকা চাকরি পেয়েছিল৷ হাইকোর্ট সেই চাকরি কেড়ে নিল। কিন্তু আমাদের কোনও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি৷ এসএসসি নিয়োগ করেছে, নাইসা প্রশ্ন তৈরি করেছে, তারাই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছে৷ এখানে আমাদের পাকা চাকরি কীভাবে খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট?”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যে বড় মাত্রার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সচেতন। এই মামলা হাইকোর্টের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। চাকরি খারিজ করার আগে চাকরিরতদের বক্তব্য শোনা হয়নি।”

ফলে চাকরি খারিজ নিয়ে শীর্ষ আদালতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়লেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা তাঁর কাছে খুবই অস্বস্তিকর বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের একাংশ।

 

 

spot_img

Related articles

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...

ঠাকুরবাড়ির স্বার্থের রাজনীতি ফাঁস: শান্তনুকে কাঠগড়ায় তুললেন মা-দাদা

বিজেপির মধ্যে ঝগড়া ও স্বার্থের লড়াই শুরু হয়েছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে। মতুয়া (Matua) সমাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কার: চরম দ্বন্দ্ব শান্তনু-সুব্রতর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায়...