শহরের কিডনি বলে পরিচিত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষায় উদ্যোগী পরিবেশ দফতর। জলাভূমি বাঁচাতে নিয়ে আসা হল বিশেষ অ্যাপ। দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন অ্যাপের মাধ্যমে জলাভূমির দখল করে নির্মাণে আটকানো সম্ভব হবে। মানুষকেও সচেতন করা যাবে। কোনও ব্যক্তি যদি ওই এলাকায় মি বা ফ্ল্যাট কিনতে চান তিনি অ্যাপের মাধ্যমেই দেখে নিয়ে পারবেন তা সংরক্ষিত জলাভূমি এলাকার মধ্যে পড়ছে কিনা। এছাড়া জলাভূমি রক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। পুর, পঞ্চায়েত এবং রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় তৈরি করা মাস্টার প্ল্যান। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, কেউ এই জলাভূমি নষ্ট করলে কীভাবে তা আটকানো হবে। মৎস্যচাষ এবং কৃষিকাজের জন্য একে আরও উর্বর করা সম্ভব কিনা, দেখা হবে সেটাও। এই জলাভূমির গুরুত্ব বোঝাতে স্কুলস্তর থেকেই শুরু হবে প্রচারমূলক কর্মসূচি। চলবে গবেষণা। মাটির দূষণ ঠেকাতে জৈব পদ্ধতিতে চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্থানীয় কৃষকদের। এলাকায় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও পদক্ষেপ করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “পূর্ব কলকাতা জলাভূমিকে রক্ষা করতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে অফিসারদের পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব দপ্তরের সাহায্য নিয়েই তা করা হচ্ছে।” সরকারি সূত্রে খবর, এজন্য প্রাথমিক ভাবে ৬৬ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। গত ১৫ বছরে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট, জমির চরিত্র পরিবর্তন, বেআইনি নির্মাণ-সহ ৩৫৯টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। তাই জলাভূমি বাঁচাতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার তৈরির পাশাপাশি আর কী কী করণীয় সে বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এছাড়া পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ধোঁয়াহীন চুলার ব্যবহার বাড়ানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে পরিবেশ দফতর। রাজ্যের পাঁচ জেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এর ব্যবহার শুরু হচ্ছে। পথের ধারে যেসব খাবারের দোকানিরা কাঠ কয়লার উনুন ব্যবহার করছেন তাঁদের মধ্যে এই উনুন বিতরণ করা হবে।নতুন এই উনুন থেকে কোনও প্রকার ধোঁয়া বের হবে না । কাঠ এবং কয়লার দুটোরই ব্যবহার করা যাবে এই উনুনে । ফলে রাস্তার ধারে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা নির্দ্বিধায় এবং নিশ্চিন্তে এই উনুন ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে প্রথম, NRS-এ খুলল ব্লাড ক্যা.নসার আ.ক্রান্ত শিশুদের জন্য নয়া ইউনিট
