দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর বুধবার চাকা গড়াল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। দুস্বপ্ন, আতঙ্ক কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে করমণ্ডল পাড়ি দিল চেন্নাইয়ের উদ্দেশে। কিন্তু সেই ওড়িশায় আবার মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটল বুধবার। এবার মালগাড়ির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ৪ শ্রমিকের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন আরও তিনজন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জাজপুর কেওনঝড় রোড স্টেশনের কাছে। যার জেরে ফের একবার মাঝপথেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

জানা গিয়েছে আচমকা শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন রেল শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছিলেন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাল গাড়ির নিচে। এরপর মাল গাড়ির চাকা গড়াতেই কাটা পড়লেন তারা। আরো চারজন রেল শ্রমিক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।
এদিন দুপুরে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। কিন্তু জাজপুরে এই দুর্ঘটনার জেরে খড়্গপুর স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে ট্রেনটি। নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে খড়্গপুর থেকে রওনা হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ঘটনার জেরে প্রায় ৫০ মিনিট দেরিতে চলছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
এ দিকে আপ কোলফিল্ড এক্সপ্রেসের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপত্তি। বুধবার বিকেলে হাওড়া থেকে ধানবাদের উদ্দেশ্যে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ৫টা ৩২ মিনিটে বামুনগাছি ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে যায় কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। এর জেরে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড ও মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রীরা জানান, কারশেড পেরিয়ে বামুনগাছি ব্রিজের কাছে আসতেই ট্রেনটির একটি বিকট ঝাঁকুনি হয়। এরপরই প্যান্টোগ্রাফ ও বৈদুতিক তারের সংযোগস্থলে আগুনের ফুলকি বের হতে থাকে। তারপরই থেমে যায় ট্রেনটি। আতঙ্কে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। কোলফিল্ড এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফের ধানবাদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় কোলফিল্ড।
আরও পড়ুন- রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল