স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন জ্ঞানবাপী(Gyanvapi) মামলার অন্যতম আবেদনকারী রাখি সিং(Rakhi Singh)। এই মর্মে দেশের রাষ্ট্রপতি(President) দ্রৌপদী মুর্মুকে(Draupadi Murmu) চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এই চিঠিতে জবাবের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রাখির হুঁশিয়ারি সময়মতো জবাব না পেলে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রাখি সিং-সহ পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর সঙ্গীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রাখি ও তাঁর আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, বাকি চার মামলাকারী–লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস ও রেখা পাঠক গুজব ছড়িয়ে তাঁকে বদনাম করছেন। এবং তাঁদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করছেন।

রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে রাখি লিখেছেন, “গতবছর থেকেই লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং আইনজীবী বিষ্ণু জৈন আমার ও আমার আত্মীয় জিতেন্দ্র সিং ভিসেনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছেন। তাঁরা বলছেন আমি এই মামলা তুলে নিতে চাইছি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁদের জন্য আজ গোটা হিন্দু সমাজের আমাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। এই চাপ আর নিতে পারছি না। আমি ৯ জুন সকাল ৯টা পর্যন্ত আপনার উত্তরের অপেক্ষা করব। অনুমতি না পেলে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিতেন্দ্র সিং ভিসেন। এবং এই মামলা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন জিতেন্দ্রর আইনজীবী শিবম গৌড়।
