Sunday, August 24, 2025

কলকাতা উইমেন্স কলেজ ও অটি.জম সোসাইটির উদ্যোগে অটি.জম ডিস.অর্ডার নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান!

Date:

Share post:

শারীরিক বা মানসিক কোনও সমস্যা কখনও মানুষকে পিছিয়ে দিতে পারে না। ইচ্ছেশক্তির জোরে আর বিজ্ঞানের প্রতিমুহূর্তের উন্নতির সুবিধা নিয়ে আজ আর কোনও বাধাই জীবনের গতিপথকে রুদ্ধ করতে সক্ষম হয় না। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (Autism Spectrum Disorder) তেমনই এক সমস্যা যা এক শিশুকে অন্য চার পাঁচ জনের থেকে আলাদা করে দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে নিউরোডেভেলপমেন্টাল অস্বাভাবিকতা (Neurodevelopmental abnormalities) বলা হয়। অটিজমে (autism) আক্রান্ত শিশুরা অন্য শিশুদের মতো সহজে সকলের সঙ্গে মিশে যেতে বা সবার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন না। তবে এই বিষয় সম্পর্কে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। মানুষের কাছে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) সম্পর্কিত সঠিক তথ্য তুলে ধরতে কলকাতা উইমেন্স কলেজ (Women’s College Calcutta) ও পশ্চিমবঙ্গ অটি.জম সোসাইটির (Autism Society West Bengal) উদ্যোগে কলেজ অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একদিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বুধবার অর্থাৎ ১৪ জুন দুপুর দুটোয় অনুষ্ঠিত হয়। অটিজম সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অটিজম সম্পর্কে প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মেয়েদের সচেতন করাই এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ অনুপমা চৌধুরীর (Anupama Chaudhary) নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডঃ রূপালী সেন, NILH বনহুগলী, ডঃ ইন্দ্রাণী বসু, ডঃ মিতু দে এবং অটিজম সোসাইটির তরফ থেকে পিয়ালী চক্রবর্তী (Piyali Chakraborty)। অনুষ্ঠানটির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ছিলেন কলেজের প্রশাসনিক বিভাগের হিমাংশু চক্রবর্তী। শিক্ষার্থীদের কাছে এই অনুষ্ঠান এতটাই পছন্দের হয়ে ওঠে যে এমন আয়োজন বারবার করার জন্য অনুরোধ আসতে থাকে অধ্যক্ষার কাছে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুরাও যে সাধারণ মানুষের মতোই জীবন যাপন করতে পারে, মূলত এই ভাবনাকেই উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে সঞ্চারিত করার চেষ্টা হয়।

মনে রাখতে হবে যখন একটি শিশু সঠিকভাবে কথা বলতে পারে না বা কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার সময় উত্তর দিতে অক্ষম হয়। অথবা একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি করার প্রবণতা দেখায়, তখন চিকিৎসক অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের সন্দেহ করতে পারেন। সাধারণত, অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা অন্যদের সঙ্গে চোখের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে অক্ষম এবং নতুন মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে এদের সমস্যা হয়। কলকাতা উইমেন্স কলেজের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে আগামী প্রজন্মকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি আর চার পাঁচ জনের মতোই অটিজিমে আক্রান্ত শিশুদের দিকে দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার কথা বলা হয়।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...