অবিজেপি রাজ্যে রাজ্যপালদের ভূমিকা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। এই অভিযোগ শুধু বাংলার নয়, অনেক রাজ্যের শাসকদলের। কেরালার পরে এবার তামিলনাড়ুও (Tamil Nadu) সরব তাদের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল আর এন রবির (Governor RN Ravi) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।

রাজ্যপাল হিসেবে আর এন রবি কীভাবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজে নাক গলাচ্ছেন চিঠিতে তা নিয়ে চিঠিতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। রাজ্য সরকারের কাজে বাধা দিচ্ছেন আর এন রবি। স্ট্যালিন চিঠিতে লেখেন, বাল্যবিবাহে জড়িত বেশ কিছু পুরোহিতের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে তামিলনাডুর রাজ্যপাল বাধা দিচ্ছেন। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিভিন্ন বিল অযথা ঝুলিয়ে রাখছেন। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের গৃহীত অবস্থানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত অবস্থান নিচ্ছেন। চিঠির শেষাংশে স্ট্যালিন স্পষ্ট লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রধানের মতো উচ্চ পদে বসার জন্য আর এন রবি যে যোগ্য নন, তা গত দুই বছরের কার্যকলাপে বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাকে অবিলম্বে ওই গুরুদায়িত্ব থেকে সরানো হোক।
স্ট্যালিন যেদিন রবির নামে অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন, সেদিনই দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন রবি। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল রবি। সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া বিদ্যুৎ মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজিকে বরখাস্ত করা নিয়ে তা চরমে পৌঁছেছে। আচমকাই জেলবন্দি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর সেই এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের ধমক খেয়ে সেন্থিল বালাজির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন রাজ্যপাল।

একের পর এক রাজ্যে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন মোদি সরকারের নিযুক্ত রাজ্যপাল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নররা। বিজেপির ‘এজেন্ট’ হিসেবে তাঁরা কাজ করছেন বলে অভিযোগ তোলে অবিজেপি রাজ্যের শাসকদলগুলি।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরালার রাজ্যপাল বা দিল্লির উপরাজ্যপালকে সঙ্গে মূহুর্মূহ সংঘাত বাধে সে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের। এবার রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করলেন স্ট্যালিন।
