বৌভাতের অনুষ্ঠানে কনেপক্ষ থেকে যাওয়ার কথা ছিল ২৫ জনের। কিন্তু মেয়েকে বৌভাতে দেখতে কনেযাত্রী গিয়েছিলেন ৩০ জন। কেন পাঁচজন অতিরিক্ত? এই নিয়েই গোলযোগ। অশান্তি এতটাই চরমে পৌঁছয় যে কনের বাড়ি থেকে আসা লোকেদের কপালে জোটে বেধড়ক মার। এমনকী মারে আক্রান্ত হয়েছেন স্বয়ং কনেও। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুরে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:উইম্বলডনে নতুন রাজা, জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ
কনের বাড়ির অভিযোগ, প্রথম থেকেই পাঁচজন বেশি কনেযাত্রী যাওয়ায় বরপক্ষ প্রশ্ন করতে থাকে। এরপরই তাঁদের মারধর করে। এমনকী খেতেও দেওয়া হয়নি তাঁদের।উল্টে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহত বেশ কয়েকজনকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। কনের ভাইয়ের তরফে এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, তার ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
জানা গেছে, দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পরিবারের দেখাশোনায় পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের বিয়ে হয়। শনিবার মুসলিম মতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়।পরের দিন, রবিবার বৌভাত উপলক্ষে শিমুলডিহি থেকে কনের পরিবারের ৩০ জন কনেযাত্রী হিসেবে যান গুনসিমা গ্রামে।
অভিযোগ, যাওয়ার পরেই তাঁদের শুনতে হয়, ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৫ জন বেশি অতিথি কেন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রথমে খানিকটা অবাক হন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। কিন্তু এই ঘটনায় যে তাঁদের মার দেওয়া হবে, তা ভাবতেও পারেননি তাঁরা। কনেপক্ষের অভিযোগ, খেতেও দেওয়া হয়নি তাঁদের। উল্টে ঝামেলা এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে বরপক্ষের লোকজন লাঠি-বাঁশ দিয়ে আচমকা মারতে শুরু করে! মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষিও চালাতে থাকে।কনের বাড়ির মহিলা সদস্যে আকিলা বিবি, মনিরা বিবি ও শামসুরনিহার বিবির শাড়ি ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।

এই ঝামেলার মাঝে পড়ে ভালরকম জখম হন কনে নিজেও। তাঁকে ও কনেপক্ষের আহত লোকজনকে দুবরাজপুর মানসায়র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
