হিংসাদীর্ণ মণিপুর। মণিপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন তিনি। রাজ্য থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এসেছে। সাম্প্রতি মণিপুরের যে ছবি সামনে এসেছে সেই বর্বরতা দেখে ধিক্কার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। I.N.D.I.A.-র তরফ থেকে মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর একটি প্রতিনিধি দলেও যাতে চান মমতা আর এবার মণিপুরের পাশে দাঁড়াল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

মণিপুরে একাধিক ফুটবলার বাংলার বিভিন্ন ক্লাবে নিয়মিত খেলতে আসেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কলকাতা লিগে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাত ফুটবলার খেলছেন। তাদের কয়েকজন ফুটবলার গোটা পরিবার নিয়ে কলকাতাতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ রীতিমত উৎকণ্ঠায় দিন কাটাতে হচ্ছে মণিপুরে। আর সেই কারণেই পরিবারেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন তারা। এমন অবস্থায় কলকাতার ক্লাবগুলি যথা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তেমনই পাশে দাঁড়াল মহামেডান। সাদা-কালো ব্রিগেডে খেলতে আসা মণিপুরের ফুটবলারের পাশে দাঁড়াল মহামেডান ক্লাব। রাজারহাটে ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্ত ফুটবলাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে তারা। এমটাই জানিয়েছেন মহামেডান সচিব ইস্তিইয়াক আহমেদ রাজু।

এই নিয়ে তিনি বলেন, “এই অবস্থায় নিয়মের কথা ভাবার মানেই হয় না। এটা মানবিক বিষয়। আমাদের গোলরক্ষক কোচকে পরিবার নিয়ে চলে আসতে হয়েছে। আমরা তাঁর জন্য রাজারহাটে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেছি। ”

এরপর ইস্তিইয়াক আহমেদ রাজু আরও বলেন,”ওদের পরিবারের বিপদে আমাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য। আমরা ওদের বলেছি পরিবারকে নিয়ে এসো। দরকার হলে আরও কাউকে যদি নিয়ে আসতে হয় নিয়ে এসো। আমরা পাশে রয়েছি, ব্যবস্থা করে দেব। রাজারহাটে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনদিন আগে সিআইটি রোডে চারটে ফ্ল্যাট নিয়েছি।”

মনে উৎকণ্ঠা নিয়েই কলকাতা লিগে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন জেমস সিং, বিকাশ সিং সহ আরও ৫ মণিপুরি ফুটবলার। কলকাতাই এখন কার্যত হয়ে উঠেছে মণিপুরি ফুটবলারদের সেফ হাউজ। কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে প্রায় ৩০ জন ফুটবলার খেলছেন।

আরও পড়ুন:মুকেশের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ টিম ইন্ডিয়া, প্রশংসায় মাতলেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ
