মহাকাশের বুকে ছোট্ট এক বিন্দু, ঠিক যেন নক্ষত্র: টেলিস্কোপে ধরা দিল চন্দ্রযান ৩! 

মহাকাশ অনুসন্ধানের যাত্রায় এক নতুন মাইলফলক ছুঁতে পারা ভারতের জন্য কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

চাঁদ জয়ের পথে এগিয়ে চলছে চন্দ্রযান-৩। শুধু ইসরোরই নয় দুনিয়ার নজরবিন্দুকে ভারতের তৈরি এই মহাকাশযান। তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে সেটির গতিপথে প্রতিটি পর্যায়ের দিকে। অনন্ত মহাকাশের বুক চিড়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান-৩। সম্প্রতি আবার ধরা পড়ল সেই ছবি। ভারতের উচ্চাভিলাষী চন্দ্র অভিযান, চন্দ্রযান-৩-এর ছবি ধরা পড়ল এবার পোল্যান্ডের ROTUZ (Panoptes-4) টেলিস্কোপে। বিশাল মহাকাশের মাঝে ছোট্ট একটি বিন্দুর আকারে দেখা যাচ্ছে ভারতের তৈরি এই মহাকাশযানটিকে। মহাকাশ অনুসন্ধানের যাত্রায় এক নতুন মাইলফলক ছুঁতে পারা ভারতের জন্য কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

চন্দ্রযান-৩-এর পরিক্রমার প্রতিটি পর্যায়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা বুঝতে ROTUZ টেলিস্কোপের মতো স্থল-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরোর তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে মহাকাশযানটি সফলভাবে পঞ্চম কক্ষপথ-উত্থাপন কৌশল সম্পন্ন করেছে। ১ অগাস্ট হবে ট্রান্স লুনার ইনজেকশন অর্থাৎ চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশযানটিকে প্রবেশের করানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পোল্যান্ডের পর্যেবক্ষণকারী দলের এক সদস্য স্কট টাইলি বলেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। এই মুহূর্তে পৃথিবীর শেষ কক্ষপথে রয়েছে সেটি। এদিকে সেই পর্যবেক্ষণকারী দলকে প্রশ্ন করা হয়,  চন্দ্রযান ৩-এর আকাঙ্খিত কক্ষপথের সঙ্গে আসল কক্ষপথের কোনও পার্থক্য রয়েছে কি? এর জবাবে পোলিশ দলের তরফে জানানো হয়, যদি চন্দ্রযান ৩-এর বর্তমান কক্ষপথের সঙ্গে পরিকল্পিত পথের কোনও পার্থক্য থেকেও থাকে, তা পরবর্তিতে সংশোধন করা যাবে। আপাত দৃষ্টিতে চন্দ্রযান ৩ সাফল্যের দিকেই এগোচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৪ জুলাই দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এলভিএম৩-এম৪ রকেটের পিঠে চেপে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয় চন্দ্রযান-৩। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৩ অগাস্ট বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতের তৈরি এই মহাকাশযান।