Tuesday, August 26, 2025

সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট, সেলিমের বাড়ি ঘিরে প্রতিবাদে মহিলারা

Date:

Share post:

রাজনীতিতে পেরে না উঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর ও অশালীন মন্তব্য করে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কার্যত শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকায় চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। সেটা নিয়েও রাজনীতি করছেন সেলিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেককে আক্রমণ করতে গিয়ে ব্যক্তি কুৎসায় পথ বেছে নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
অভিষেককে ব্যক্তিগতকৃ আক্রমণ করে টুইটে অশালীন শব্দ ব্যবহার, সিপিএমের অন্দরেও সেলিমকে সমালোচনার মুখে দাঁড় করিয়েছে। এমন শব্দ চয়ন মাথা হেঁট করে দিয়েছে সকলের। কিন্তু সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েও টুইট নিয়ে কোনওরকম দুঃখপ্রকাশ করেননি সেলিম। বর্ষীয়ান নেতা হয়েও কোনও অনুতাপ নেই তাঁর মধ্যে।

তারই প্রতিবাদে আজ, বুধবার মহাম্মদ সেলিমের বাড়ির ঘেরাও করেন প্রচুর মহিলা। কারণ, মহম্মদ সেলিম অভিষেককে আক্রমণ করতে গিয়ে সমাজের একশ্রেণীর মহিলার সম্মানে আঘাত করেছেন। একজন কম্যুনিস্ট নেতা নেতা হয়ে ‘যৌনকর্মী, ‘পতিতা’ শব্দের ব্যবহার করেছেন তিনি। নেখানে নারীদের সম্মানে আঘাত করেছেন। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ এদিন সকাল থেকে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে সেলিমকে। স্বভাবতই ব্যাকফুটে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।

অভিষেককে নিয়ে গত সোমবার সেলিম লিখেছিলেন, ‘‘অভিযোগ, তিনি (অভিষেক) তাঁর অসাধু সম্পদ রাখার করার জন্য ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন।’’ টুইটে ইংরাজিতে ‘প্রস্টিটিউট’ শব্দটি লিখেছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। তা নিয়ে দলের মহিলা নেতৃত্বের একটা বড় অংশ নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন। সেলিমের ভাষা চয়ন নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রকাশ্যে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বামপন্থীরা ‘প্রস্টিটিউট’, ‘পতিতা’ বা ‘বারবণিতা’ শব্দগুলি ব্যবহার করে না। বরং সেই মহিলাদের সম্মানার্থে তাঁদের ‘যৌনকর্মী’ বলা হয়। যার ইংরেজি ‘সেক্স ওয়ার্কার’।

মঙ্গলবার সকালেই সেলিমের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয়েছে। সিপিএমের অনেক নেতা সেটি ‘শেয়ার’ও করেছেন। সেই পোস্টের দ্বিতীয় অংশে লেখা, “১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত।”

সেলিমের এমন আচরণে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা টুইটে সোমবার লিখেছিলেন, ‘‘কয়েকবছর আগের কথা। পার্টির কাজ আছে বলে এক নামী নেতা বান্ধবীর সঙ্গে একটি রাজ্যের হোটেলে চলে যান। তাঁর বিমান এবং হোটেলের কাগজ তাঁর বাড়িতে দেন পার্টিরই আর এক নেতা। আমাদেরও দেন। চূড়ান্ত অশান্তি হয়। আমরা সৌজন্যের খাতিরে তখন ছাপিনি। এ বিষয়ে আপনার কিছু জানা আছে মহম্মদ সেলিম?’’

 

 

 

 

spot_img

Related articles

কেনিয়ায় ছুটির মুডে অরিন্দম, পরিচালকের লেন্সে বন্দি প্রকৃতির সৌন্দর্য

'যেন অন্য কোনও জগতে আছি। প্রকৃতির সৃষ্টির মাঝে অস্তিত্বহীন মনে হচ্ছে নিজেকে। যেন মহাবিশ্ব আশীর্বাদ করছে, সুযোগ করে...

বিজেপির ললিপপ হবেন না: নির্বাচন কমিশনকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

বিজেপির (BJP) ললিপপ হবেন না। মঙ্গলবার, পূর্ব বর্ধমানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন...

গণতান্ত্রিক দেশে কেন দেখাবেন না ডিগ্রি: নিজের ডিগ্রি তুলে চ্যালেঞ্জ সাগরিকার

কী লুকাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? এক সময় তো নিজেকে চাওয়ালা, পাহারাদার কিছু বলতেই বাদ রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra...

অমানবিক রেল পুলিশ! স্ত্রীর দেহ কাঁধে তুলে স্টেশনে ঘুরছেন স্বামী

রেল পুলিশের (Rail Police) চরম অমানবিকতা। সোমবার বরাভূম স্টেশনে শান্তা কর্মকার নামে একটি মহিলার মৃত্যু হয়। এই  মৃত্যুই...