Sunday, August 24, 2025

যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন! প্রেস ক্লাবে ক্ষো.ভপ্রকাশ ৩২ হাজার শিক্ষকের একাংশের

Date:

Share post:

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ৩২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার একাংশ এবার তাঁদের জীবনযুদ্ধের কথা তুলে ধরলেন। শনিবার প্রেস ক্লাবে (Kolkata Press Club) সাংবাদিক সম্মেলন করে একাধিক ক্ষোভের কথা তুলে ধরলেন তাঁরা। গত ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি হারান। তবে পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কাজে যোগও দেন তাঁরা। কিন্তু সমস্যা হয় চাকরি হারানোর পর থেকেই। সমাজের নানা স্তরে চরম অপমানিত হতে হয় তাঁদের। এদিন তাঁরা সাফ জানান, মামলা বিচারাধীন, তদন্ত চলছে। আর এমন আবহে কীভাবে তাঁদের আচমকা অযোগ্য বলা যায় সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন চাকরি হারানো শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ।

এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি পেশ করে শিক্ষক শুভাশিস সিনহা, পঙ্কজ দাসের প্রশ্ন, দীর্ঘ ৬ বছর কর্মরত থাকার পর কীভাবে বলা যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা প্রত্যেকেই অযোগ্য? ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। এর মধ্যে প্রশিক্ষিত ৬৫০০ জনকে নিয়ে বরাবরই কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু বাকিদের প্রশিক্ষণ না থাকায় বিতর্ক শুরু হয় এবং মামলা গড়ায় হাই কোর্টে।

তবে সাংবাদিক সম্মেলনে জীবন যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষিকা মৌসুমী বেগম। তবে এদিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য, ৩২ হাজার শিক্ষকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ পরিবার। অন্তত সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানবিকতার দায়বদ্ধতার কথা ভাবা উচিত।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...