Sunday, August 24, 2025

ভাঙা হল দেব আনন্দের বাড়ি, মাটিতে মিশল ‘জুয়েল থিফ’-এর আশ্রয়

Date:

Share post:

৪০ বছর ধরে যে বাড়িতে নিজের জগত তৈরি করেছিলেন বলিউডের এককালের রোমান্টিক হিরো, আজ তাঁর না থাকার সুযোগ নিয়ে সেই বাড়িও যেন নিজেকে অতীতের গর্ভে মিলিয়ে দিল। স্ত্রী কল্পনা কার্তিক, সন্তান সুনীল আনন্দ এবং দেবীনা আনন্দের সঙ্গে জীবনের একটা বড় অংশ এই বাংলোতেই কাটিয়েছেন অভিনেতা দেব আনন্দ (Dev Anand)। বলিউডের (Bollywood) অন্দরে খবর, ৪০০ কোটি টাকার বিনিময়ে কিংবদন্তি অভিনেতার জুহুর বাংলো (Dev Anand’s Juhu Bunglow) কিনে নিয়েছে প্রোমোটার। শুরু হয়েছে ভাঙার কাজ কারণ এবার সেখানেই গড়ে উঠবে ২২ তলার একটি অভিজাত আবাসন। ১০ বছর আগে বিক্রি করা হয়েছিল অভিনেতার স্টুডিয়ো। এ বার জুহুর বাড়ি ও পানভেলের বেশ কিছু সম্পত্তিও বিক্রি হয়ে গেল। মন খারাপ ‘ জুয়েল থিফ’-এর অনুরাগীদের।

চার দশকের বেশি সময় যেখানে কাটিয়েছেন অভিনেতা, আজ তা পরিত্যক্ত। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই বাংলো এখন বসবাসের অযোগ্য। প্রয়াত অভিনেতার ছেলে সুনীল এখন আমেরিকায় থাকেন। আর তাঁর স্ত্রী থাকেন মেয়ে দেবীনার সঙ্গে, উটিতে। এই কারণেই জুহুর এই বাংলোটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শোনা যায় নিস্তব্ধ পরিবেশের সঙ্গে নিভৃতবাস করতে পছন্দ করতেন অভিনেতা। ১৯৫০ সালে এখানে বাংলো বানিয়েছিলেন। একসময় মাধুরী দীক্ষিত, ডিম্পল এই এলাকায় বসবাস করতেন। পরবর্তীতে এলাকা যতই জমজমাট হয় ততই তা অপছন্দ করতে শুরু করেন দেব আনন্দ (Dev Anand)। নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী করে পৃথিবী ছেড়েছেন প্রায় এক যুগের কিছু সময় আগে। মৃত্যুর ১৩ বছরের মধ্যে তাঁর একেরপর এক সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এবার তো বাড়ি ভেঙে বড় আবাসন তৈরির পরিকল্পনা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির। দেব আনন্দের স্টুডিওটি বছর দশেক আগে বিক্রি করা হয়েছিল। এবং সেখান থেকে যে অর্থ আসে তা দিয়ে কেনা হয়েছিল ৩টি অ্যাপার্টমেন্ট। প্রয়াত অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর একটি সুনীলকে, অন্যটি দেবীনাকে এবং তৃতীয়টি তার স্ত্রী কল্পনাকে দেওয়া হয়েছিল। জুহুর বাংলো থেকে পাওয়া টাকাও তিনভাগে ভাগ হবে।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...