Tuesday, November 11, 2025

মীরজাফরের ইন্ধনে টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্র! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গ.র্জে উঠলেন কল্যাণ-সামিরুল

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আর সেই মতোই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন থেকে বাংলার বঞ্চিতদের নিয়েই পথে নামেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিনের মিছিলে কার্যত জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায়। তবে এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অভিষেক মিছিল নিয়ে রাজভবনে (Rajbhawan) পৌছলেও সেখানে ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছেন তিনি। পরে সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল যে ভয় পেয়েই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন এমন অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন রাজভবনের সামনে একে একে ভাষণ দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে যে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল আজ তা রাজভবনের সামনে। এই আন্দোলনের কারিগর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের অধিকারিক জানিয়েছিলেন, বাংলার বিরোধী দলনেতা ও বাংলার বিজেপি সাংসদরা টাকা দিতে বারণ করেছে। তবে বাংলার কিছু ভাঁওতাবাজ, দলবদলুর কথায় একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলার গরিব মানুষের অধিকারের টাকা আটকে রেখেছে। যাদের ভরসায় একুশ সালে ২০০ আসন নিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের কথায় বাংলাকে বঞ্চনা করেছেন মোদি। দিল্লির অলিতে গলিতে মানুষ বলছে, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো এমন আন্দোলন তাঁরা আগে দেখেননি। বিজেপি টাকা আটকে অন্যায় করছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আগে ছিল না, এটা নরেন্দ্র মোদি আমদানি করেছে। যে আওয়াজ তুলবে তার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করতে চাইছে। ভারতবর্ষের বুকে বিজেপি ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দল রাখতে চায় না নরেন্দ্র মোদি। গোটা বিশ্বে এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, এ জন্মে যেন নরেন্দ্র মোদি তার পাপের ফল পায়।

সাংসদ সামিরুল ইসলামের (Samirul Islam) অভিযোগ, বাংলার যে ২০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষ টাকা পাননি তাঁরা তৃণমূল করেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকল গরিবের জন্য এই লড়াই করছে। মোদি সরকার গরিব, তপশিলি, আদিবাসী মানুষের বিরোধী। আর শুভেন্দু অধিকারী বাংলা বিরোধী, হিংসুটে। তাঁর ইন্ধনেই কেন্দ্র টাকা আটকে দিচ্ছে। উনি একজন মিরজাফর। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে লড়ছে। এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, বাংলার গরিব মানুষের হকের টাকা। আমাদের দিল্লির আন্দোলন দেখে মোদি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের মহিলা সাংসদ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের নিগ্রহ করেছে। কিন্তু মোদি ভুলে গিয়েছেন বাংলার মানুষের শরীরে স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্ত আছে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।

 

 

 

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...