Sunday, December 28, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত রাজ্যপালের, ক.টাক্ষ ব্রাত্যর

Date:

Share post:

গতকাল শুরু হয়েছিল ধরনা কর্মসূচি, বাংলার অধিকার আদায়ে সেই কর্মসূচি  শুক্রবারও চলছে। সেই ধরনা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস।  শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ, রাজ্যপালের উচিত, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধান সূত্র খোঁজা। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা না শোনার জন্য তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করাও উচিত রাজ্যপালের।

তিনি বলেন, আমরা যে সুবিচার চেয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট তাতে সিলমোহর দিয়েছে। এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই বাড়ির অস্থায়ী বাসিন্দার জন্য দুঃখই হচ্ছে। আচার্যের পরাজয় হলে আমাদের তো খারাপ লাগারই কথা। ব্রাত্যর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে, তা মোটেই কাম্য ছিল না। রাজ্য সরকার বার বার রাজ্যপালের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক বসতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপালই কোনও উদ্যোগ দেখাননি।

ব্রাত্য বলেন, আমরা বার বার করে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে একসঙ্গে বসে যাতে সুষ্ঠু ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য সঠিক উপাচার্য নিয়োগ করতে পারি। কোনও তাবেদার উপাচার্য নয়! কিন্তু তা হয়নি।

এদিন ধরনা মঞ্চে তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ, অভিষেকের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারার রাগ কাজ করে বিজেপির।প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে থামাতে চেয়েছে বিজেপি, কিন্তু পারেনি।আমাদের কর্মসূচি যে কোনও উপায়ে ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা।রাজ্যপাল হেল্প নম্বর খুলেছেন। তিনি সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছিলেন। আজ সুপ্রিম কোর্টে একটা ধাক্কা খেয়েছেন। দেখা করবেন না বলে রাজ্যপাল পালিয়ে গেলেন।রাজ্যবাসীর জন্য মাঝে মাঝে ওনার মন কেঁদে ওঠে। কিন্তু ওনাকে পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দেখা করতে চাইছেন, কিন্তু ওনার সময় নেই।নৈরাজ্যপাল হয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা না করার জন্য পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।রাজ্যপালের অদ্ভূত ভৌতিক নীরবতা।রাজ্যপালের দায়িত্বহীনতাকে ধিক্কার জানাই।একা চলার মানসিকতা ঠিক না। অনুরোধ করছি, উনি আলোচনার টেবিলে আসুন।আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এত ভয় কিসের?সর্বস্তরে আমরা ধৈর্য নিয়ে আন্দোলন করছি।মনে রাখবেন শেষ পর্যন্ত যে কোনও আন্দোলনে মানুষের জয় হয়েছে।

spot_img

Related articles

শুনানির নামে বয়স্ক বৈধ ভোটারদের হেনস্থা

বিজেপির নির্দেশে বাংলার ওপর জোর করে এসআইআর চাপিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বাংলার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার...

বাদ পড়তে পারেন তারকা ক্রিকেটার, একদিনের দল নিয়েও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই

টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবার একদিনের দল(ODI Team) নিয়েও বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই।...

অন্ধকার আফ্রিকায় একটি ‘সৎ মানুষের দেশ’: স্বপ্ন সফল করেছিলেন থমাস সাঙ্কারা

আফ্রিকার অন্ধকার জগতে কোথাও খাদ্য সংকট। কোথাও জীবনযাপনই একটা বড় প্রশ্ন। তার মধ্যেও সভ্যতার ছোঁয়া পাওয়া যে কয়টি...

ভক্তির জোয়ারে দিঘা! আট মাসে এক কোটির মাইলফলক 

বাঙালি ভক্তির আবেগ ও আন্তর্জাতিক বৈষ্ণব সংস্কৃতির মেলবন্ধনে দিঘার জগন্নাথ ধাম ধীরে ধীরে ভারতের অন্যতম আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র...