“বাংলার মানুষের হকের টাকা আটকে রাখা যাবে না”, ধর্না মঞ্চ থেকে মোদি সরকারকে ধুয়ে দিলেন ঋতব্রত

শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনে করিয়ে দেন, অভিষেক সংসদে গত বছরের শেষে শীতকালীন অধিবেশনে বাংলার টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করেছিল যে বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে।

৪৮ ঘণ্টা পেরলেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দু’দিন পেরলেও রাজভনের (Rajbhawan) সামনে ধর্না মঞ্চে রাজ্যপালের অপেক্ষায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন আবহেই মোদি সরকারের (Modi Govt) নির্দেশ মেনে শনিবার কলকাতায় (Kolkata) আসতে বাধ্য হয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। আর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কলকাতায় আসা যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তথা বাংলার বঞ্চিত মানুষের ‘নৈতিক জয়’ তা মনে করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে শনিবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে দার্জিলিং পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিকেলে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল। তবে কলকাতায় এসে রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি আনন্দ বোসকে ৫০ লক্ষ চিঠি পড়ানোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার ধর্না কর্মসূচির তৃতীয় দিন। আর এদিনও ধর্না মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের তুঘলকি শাসন নিয়ে সরব তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee) জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, তা মানুষের আশীর্বাদে জনজোয়ারে পরিণত হয়েছিল। আর তা বাংলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এদিনের মঞ্চ থেকে বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, বাংলার বঞ্চিতদের টাকা এভাবে আটকে রাখা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে এভাবে টাকা আটকে রাখার নজির নেই। এরপরই শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনে করিয়ে দেন, অভিষেক সংসদে গত বছরের শেষে শীতকালীন অধিবেশনে বাংলার টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করেছিল যে বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এরপরই গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে টাকা আদায়ের লড়াই দিল্লির বুকে সংগঠিত হবে। আর অভিষেকের দেখান পটহেই দিল্লিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলার বঞ্চিত মানুষদের সুনামি। যা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

ঋতব্রত আরও বলেন, একের পর ট্রেন ও বিমান কেন্দ্রের তরফে বাতিল করা হলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সবকিছু উপেক্ষা করেই দিল্লির দরবারে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘লাটসাহেব’ এখন নেই। কিন্তু তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অভিষেকের নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে তা সারা দেশে সাড়া ফেলেছে। ঋতব্রত মনে করিয়ে দেন, মানুষের হকের টাকা কারও বাবার সম্পত্তি নয়। এই টাকা বাংলার মানুষের টাকা। অন্যদিকে, গদ্দার তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রসঙ্গ তুলে তিনি অভিযোগ করেন, অধিকারী কেন্দ্রকে চিঠি লিখছে টাকা দেবেন না। আর সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্র। তবে দিল্লির রাজপথে সুনামির পর কলকাতায় ফিরে এসে লাটসাহেবের বাড়ির সামনে বসেছেন ধর্নায় বসেছেন অভিষেক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যতক্ষণ না রাজ্যপাল দেখা করবেন ততক্ষণ অভিষেক ধর্না মঞ্চ থেকে নড়বেন না। পাশাপাশি এই লড়াই যে আরও বৃহত্তর হবে এদিন তারই ইঙ্গিত দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 

 

 

Previous articleমমতার নেতৃত্বে বাংলায় লড়ুক কংগ্রেস-সিপিএম, খাড়গেকে প্রস্তাব পাওয়ারের
Next articleশান্তিপুরে শু.ট আউট! তোলা দিতে অস্বীকার করায় সস্ত্রীক ব্যবসায়ীকে মা.রধর