তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুন ঘিরে উ.ত্তপ্ত জয়নগরের দোলুয়াখাটি গ্রাম। জনরোষে মৃ.ত্যু হয় এক আক্রমণকারীর। আর একজনকে আহত অবস্থায় গ্রে.ফতার করেছে পুলিশ। এর পরেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে অগ্নিগর্ভ এলাকা। ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার ভোরে গ্রামের ধর্মীয় প্রার্থনা করতে যাওয়ার সময় জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল প্রধান সইফুদ্দিন লস্করকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতরে যখন অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সইফুদ্দিনের স্ত্রী বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন।

গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। ২ জনকে খুনি বলে সন্দেহ করে গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই এক যুবকের মৃত্যু হয়। অন্যজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। পুলিশ সুপারের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছেন ধৃত।

অভিযোগ, এরপরেই বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এর পর বাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই পদ্মেরহাট হাসপাতালে যান স্থানীয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক বিভাস সর্দার। তাঁর দাবি, সাইফুদ্দিন এলাকার মানুষের কাছে এত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। মানুষের পাশে ছিলেন। তাই বিরোধীদের কাছে শত্রু হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন করে ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে বিরোধীরা।
