হলফনামা (Affidavit) পেশ করলেও আদালতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারল না স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সুপারিশপত্র প্রত্যাহারে (Recommendation Letter) কমিশনের অবস্থান কী? সম্প্রতি হলফনামা চেয়ে এসএসির অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত পরিষ্কারভাবে জানতে চেয়েছিল আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে? নাকি নিজেরাই অনিয়ম খুঁজে পেয়ে তার প্রেক্ষিতে চাকরি বাতিল করা হয়েছিল? বুধবার সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হলে বিচারপতি দেবাংশু বসাক সাফ জানান, কমিশনের হলফনামায় আদালতের প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট নয়।

তবে এদিন বিচারপতি এসএসসিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ফের নতুন করে কমিশনের সব বোর্ড সদস্যদের মিটিং করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নাহলে আদালত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বিচারপতি আরও জানান, অন্যের ঘাড়ে চেপে না ঘুরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কমিশনের বোর্ড সদস্যরা। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম প্যানেলে প্রায় ৯ হাজার প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ওয়েটিং-এর তালিকায় ছিলেন আরও ৩ হাজার জন। এই প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু করার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে কলকাতা হাই কোর্ট সম্মতি জানালেও এসএসসি জানিয়ে দেয় তারা আপাতত নিয়োগ পত্র দিতে পারবে না।

এরপর গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুরু হয় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ৩৫ জন চাকরিপ্রার্থী। শুনানিতে শীর্ষ আদালতে তাঁদের অভিযোগ, এই প্যানেলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম প্যানেলে যাদের নাম ছিল, নতুন প্যানেলে তাদের অনেকেরই নাম নেই। তাই এই কাউন্সেলিং বন্ধ করতে হবে।
