দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। কোমর বাঁধছে ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল। কয়েকটি জায়গায় প্রার্থীর নাম ছাড়া দেওয়াল লিখনও শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই অফিসপাড়ায় পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দল নয়, একটি সংগঠনের তরফে কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে হটানোর ডাক দিয়ে পোস্টার (Poster) পড়েছে। যা দেখে অনেকেই বলছে ভোটের আগে ‘বন্ধু’ পেল বাংলার শাসকদল।

কিন্তু কেন শুধু তৃণমূল বন্ধু পেল বলা হচ্ছে?
কারণ পোস্টারে (Poster) বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও কথা নেই। শুধু, “মোদি হটাও, দেশ বাঁচাওয়ের বার্তা”। সর্বত্র বিজেপিকে (BJP) হারানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কোনও কথা লেখা হয়নি।
কারা দিল পোস্টার?
নাম রয়েছে ‘ভারত জোড়ো অভিযান (পশ্চিমবঙ্গ)’-এর। এই পোস্টার পড়েছে প্রধানত ডালহাউসি চত্বরে। কারণে, সারা বাংলা থেকেই মানুষজনের যাতায়াত ওই অঞ্চলে।

কারা রয়েছেন এই সংগঠনের পিছনে?
যোগেন্দ্র যাদব, যিনি বিভিন্ন গণআন্দোলন সংগঠিত করেন তিনিই এই মূল নেতা। আগে তিনি আম আদমি পার্টির নেতা ছিলেন। সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই তিনি দল ছাড়েন। ২০১৬-তে তিনি তৈরি করেন স্বরাজ পার্টি। তবে, তাঁর দল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। গত কয়েক বছরে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে মুখ হিসেবে সামনে এসেছেন যোগেন্দ্র। গত বছর শেষ থেকে শুরু হওয়া রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-তেও ছিলেন তিনি। নিজের দলের ব্যাজ পরেই হাঁটেন তিনি। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ‘ভারত জোড়ো অভিযান‘ মঞ্চটির ঘোষণা করেছিলেন যোগেন্দ্র। তাদেরই পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে এই পোস্টার। শাখার অন্যতম আহ্বায়ক কল্যাণ সেনগুপ্তর কথায়, তাঁরা সভাসমিতি করে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছেন। এই কাজ এখনই থামছে না। লোকসভা ভোটের পরেও এটা চলবে। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত এটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। বিজেপি মতো সাম্প্রদায়িক দলের প্রভাব নির্মূল করতে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করছেন কল্যাণ। বিজেপিকে হটাতে সব বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলির একজোট হওয়ার পক্ষেই মত এই সংগঠনের। তবে, রাজনৈতিকভাবে তারা কারও সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
