ফিরে দেখা ২০২৩, রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা

নিয়োগের দাবিতে কলকাতায় চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা বিক্ষোভ প্রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে চেষ্টা সমাধান সূত্র বের করার।

১) পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় সবুজ ঝড় ওঠে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত তিনটি স্তরেই তৃণমূল কংগ্রেসের ধারেকাছে আসতে পারেনি বিরোধীরা। সব কয়টি জেলা পরিষদ আসন দখল করে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬,৫৬০টি আসন, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ৩৫,৬৯৬টি আসন যেতে শাসক দল।
২)বিশ্বভারতীতে ফলক বিতর্ক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলক বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেই ফলকে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।
৩) নিয়োগের দাবিতে কলকাতায় চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা বিক্ষোভ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে চেষ্টা সমাধান সূত্র বের করার।
৪) অনেক দড়ি টানা টানাটানির পর, তিন বছর পরে অবশেষে শান্তিনিকেতনে সূচনা মহর্ষির পৌষমেলার।
৫) এপ্রিলের শেষে কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের প্রার্থী সাধারণ মানুষ ঠিক করবে, জানান অভিষেক। বিভিন্ন জেলায় সভা করতে গিয়ে কার্যত জনজোয়ারে ভাসেন তিনি।
৬) নভেম্বরের শেষে বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসে তৃণমূল। তৃণমূলের বিধায়করা সেখানে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করলে সেখানে বিজেপি বিধায়করা জাতিয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। একাধিক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
৭)লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে সক্রিয় বিজেপির এজেন্সি।অক্টোবরের শেষে রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশনকাণ্ডে গ্রেফতার করে ইডি।
৮) ২৮ মে রাজ্যের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠায় নবান্ন। অনেক দড়ি টানাটানির পর ৭ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন।
৯) কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দেখা না পেয়ে ফের কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধরনা তুলে নেন তাঁরা।
১০) সংসদে প্রতিবাদী নারীকণ্ঠ হিসেবে পরিচিত মহুয়া মৈত্র। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন, মহুয়া টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেন। যা তৃণমূলকে রোখার আরও এক প্রক্রিয়া বলে মনে করা হয়। তার তদন্ত হয়। মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়।