রাম-ময় অযোধ্যা: বিপুল খরচে বিমানবন্দরেও রামায়ণের ছোঁয়া

হাতে আর মাত্র কিছু সময়। আর তারপরই রামমন্দিরের (Ram Mandir) শুভ উদ্বোধন। ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে ডবল ইঞ্জিন যোগীরাজ্য। চারিদিকেই যেন শুধুই ‘রামের’ ছড়াছড়ি। আর অযোধ্যায় (Ayodhya) পা রাখলেই বুঝতে পারবেন এ যেন এক টুকরো হিন্দু রাষ্ট্র। যেখানে শুধুই ‘গেরুয়া রাজনীতির’ উপর ভর করে দেশবাসীকে রামের নামে ভুল বোঝানোর চেষ্টা, থুরি ভোট বৈতরণী পারের চেষ্টা। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেশবাসীকে এক বড় উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) অ্যান্ড কোং। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মন্দির থেকে রাস্তাঘাট, এমনকি অযোধ্যায় অত্যাধুনিক বিমানবন্দর (Airport) গড়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের গুডবুকে নাম তুলেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এবার অযোধ্যার বিমানবন্দরেরও নামকরণ করা হচ্ছে রামায়নের স্রষ্টার নামে। শনিবারই এই নয়া বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

রামায়ণের স্রষ্টা মহর্ষি বাল্মীকির নামেই অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম রাখা হচ্ছে। অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা-সহ গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। যার নতুন নাম হবে ‘মহর্ষি বাল্মীকি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অযোধ্যাধাম’ (Maharshi Valmiki International Airport Ayodhyadham)। শনিবার নতুন রেল স্টেশনের পাশাপাশ বিমানবন্দরটিও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগে অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম ছিল ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম অযোধ্যা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট’। জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার উদ্বোধনের পর থেকেই এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে অযোধ্যা। তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দর। এর জেরে পর্যটন ব্যবসা আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে বলেই মত বিজেপির। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন এমন বিমানবন্দর বানানো হল তা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। পাশাপাশি রাম নাম-ই কী লোকসভা নির্বাচনে জেতার বড় কৌশল? তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

 

কী কী আছে বিমানবন্দরে?

 

  • ৬ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত এই নতুন টার্মিনাল ভবনটি দিয়ে একসঙ্গে ৬০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
  • বার্ষিক ১০ লাখ যাত্রী উড়ান পরিষেবা নিতে পারবেন এই বিমানবন্দরে।
  • থাকছে ট্যাক্সি ট্র্যাক, এবং অতিরিক্ত ১৮টি বিমান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
  • কেন্দ্রের হিসাবে প্রথম ধাপের নির্মাণের জন্য এখনও পর্যন্ত খরচ ১৪৫০ কোটি টাকা।
  • রাম মন্দিরের আদলে সাজানো হয়েছে বিমানবন্দরকে।

জানা গিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চলাচল শুরু করবে এই বিমানবন্দর থেকে। তবে জানুয়ারি মাসেই দিল্লি, মুম্বই এবং আহমেদাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাবে।

 

 

 

Previous articleফিরে দেখা ২০২৩, রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা
Next articleস্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে SSKM হাসপাতালে হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী