৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। ইতিমধ্যেই ওয়াজিমা উপকূলে ১.২ মিটার ঢেউ ওঠা শুরু হয়েছে। ফলে ভূমিকম্পের ঠিক পরেই সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুধুমাত্র জাপান নয়, রাশিয়ার এবং উত্তর কোরিয়ার কিছু অংশেও সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এদিন জাপানে ৭.৬ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি নোটো, ইশিকাওয়াতে আঘাত হানে। সোমবারের ভূমিকম্পের কারণে ইশিকাওয়াতে তাৎক্ষণিক সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র বা ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে। তারই আফ্টারশক বা ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে কেঁপে ওঠে টোকিও-সহ একাধিক শহর। ইতিমধ্যেই এক মিটার সমান উঁচু ঢেউ উঠতে শুরু হয়েছে ইশিকাওয়া এলাকার উপকূলে। সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা দেশে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, উঁচু বাড়িতে বা অন্য এলাকায় আশ্রয় নিতে। সমুদ্র ফুঁসে ৫ মিটার অবধি ঢেউ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। যেখানে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর ও একটি ইমেল আইডি দিয়ে জানানো হয়েছে, দূতাবাসের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১ জানুয়ারি, ২০২৪ যাঁরা ভূমিকম্প ও সুনামির কবলে পড়েছেন তাঁরা যে কোনও রকম সাহায্যের জন্য এই নম্বরগুলো ও ইমেলে যোগাযোগ করুন।
+81-80-3930-1715 (Yakub Topno)
+81-70-1492-0049 (Ajay Sethi)
+81-80-3214-4734 (DN Barnwal)
+81-80-6229-5382 (S Bhattacharya)
+81-80-3214-4722 (Vivek Rathee)
[email protected] [email protected]

উল্লেখ্য, এই ভূমিকম্প স্মরণ করাচ্ছে ২০১১ সালে জাপানে ভয়াবহ সুনামির অতীত। ওই বছর মার্চে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৯.০। দেখা গিয়েছিল, সমুদ্রের জলের তোড়ে খেলনার মতো ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর, গাড়ি। আতঙ্কে ছুটোছুটি করছেন মানুষজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু বাড়ি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়।

