Friday, December 19, 2025

সিবিআইয়ের খাতায় নাম থাকা ইডি অফিসার কেন সন্দেশখালির তদন্তে, প্রশ্ন তৃণমূলের

Date:

Share post:

দুর্নীতির দায়ে সিবিআইয়ের খাতায় নাম থাকা ইডি অফিসার রাজকুমার রাম কী করে সন্দেশখালিতে অভিযানে গেলেন, প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ বলেন, সন্দেশখালিতে গত শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির অভিযানে ছিলেন রাজকুমার রাম। তিনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে তাঁর। কুণাল বলেন, এই রকম অফিসারকে কেন তদন্তে পাঠানো হয়েছে, ইডিকে তার জবাব দিতে হবে।
ইডি-সিবিআই-এনআইএ এর বেসিক যে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। নিজেদের প্রয়োজনে এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্য তুলে ধরে কুনাল বলেন কে গেলেন তদন্তে? রাজকুমার রাম যিনি নিজেই সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায়। কেন্দ্র আগে জবাব দিক সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা একজন অফিসার কীভাবে তদন্তের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন? সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারী কে গ্রেফতার করবে না, অথচ সিবিআই এর এফআইআরে নাম থাকা ইডি অফিসারকে তদন্তে নামাবে, এটা কীভাবে হতে পারে?

আসলে ইডি, সিবিআই, এনআইএ বিজেপির শাখা সংগঠন। কুণালের আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির দলদাসের ভূমিকায় নেমেছেন। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যপাল কি ইডির কাছে জানতে চেয়েছেন, রাজকুমার রাম কীভাবে তদন্তে গেলেন?এদিন কুণাল প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল ইডির কাছে জানতে চেয়েছিলেন যাদের তিনি দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে, তাদের মধ্যে সিবিআই এর তদন্তের আওতায় থাকা অফিসার আছেন।

কুণালের স্পষ্ট কথা, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটা বিকৃত প্রচারের মহল তৈরি হচ্ছে।তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে সমর্থন করে না। যদি ন্যায্য তদন্ত হয় হোক। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা যেভাবে যে ভাষায় কথা বলছেন এবং ইডি আধিকারিকরা সেইসব মানুষের কাছে গিয়ে হাজির হচ্ছেন, তাতে এলাকার মানুষের কাছে একটা ভুল বার্তা যাচ্ছে।প্ররোচনা মূলক কথাবার্তা সবার আগে বন্ধ হওয়া দরকার।তিনি বলেন, শাহজাহান দোষী না নির্দোষ, তা আমরা জানি না। শুভেন্দু অধিকারীর মতো একটা চোর শুধু সবাইকে চোর বলে চলেছেন। মানুষ বিশ্বাস করে না এই সব। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য রোজ শুধু মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। তাই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।

মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে এটা বুঝতে পারছে না যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে গিয়েছে।এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর। তিনি প্রশ্ন তোলেন,আইন শৃঙ্খলা দেখে রাজ্য সরকার।সন্দেশখালির ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ইডি। তারা যে অভিযানে যাবে, রাজ্য প্রশাসনের কেউ জানত না। ইডি তদন্ত যাওয়ার আগে কেন জানালো না? রাজ্যপাল জানলেন, বিজেপি নেতারা জানলেন, অথচ ইডি যে তদন্তে যাচ্ছে রাজ্য সরকার জানলই না কোনও কিছু!

spot_img

Related articles

হিজাব বিতর্কে নয়া মোড় ,সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন না মহিলা চিকিৎসক!

বিহারের সরকারি অনুষ্ঠানে মহিলা চিকিত্‍সকের মুখ থেকে হিজাব টেনে নামিয়ে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ...

কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো-র সংবাদপত্রের দফতরে হামলা! 

বাংলা দৈনিক প্রথম আলো-র দফতরে হামলা! বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একদল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি সংবাদপত্রটির দফতরে ঢুকে একাধিক তলায় ব্যাপক...

জলপাইগুড়ির আকাশে ভিনগ্রহীদের যান! রহস্যময় আলো ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

বৃহস্পতিবার রাতের আকাশে হঠাৎ রহস্যময় আলো ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলায় (Jalpaiguri District)। কেউ বলছেন উল্কা কেউ বলছেন ইউএফও...

এসআইআর প্রক্রিয়ায় নজির! প্রথমবার ভোটারকে শো-কজ কমিশনের

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এই প্রথম কোনও ভোটারকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এক...