Thursday, August 28, 2025

জোটের দুই শত্রু অধীর ও বিজেপি: কড়া সুরে আক্রমণ ডেরেকের

Date:

Share post:

বাংলায় জোট না হওয়ার এক এবং একমাত্র কারণ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিস্ফোরক দাবী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের। বললেন, জোটের দুই শত্রু। এক, অধীর, দুই বিজেপি। ক্রমাগত তিনি যেভাবে জোটের বিরুদ্ধে বাংলায় কথা বলেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে একের পর এক আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন তাতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর লাগাতার আক্রমণের পরও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে তার মন্তব্যে লাগাম টানার চেষ্টা করা হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এমনকি অভিযোগ, নয়াদিল্লি থেকে আসা পর্যবেক্ষকদের কাছেও বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট না করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাই জোট ভেস্তে যাওয়ার জন্য তাঁকেই নিশানা করলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।

বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, জুনে পাটনায় প্রথম বৈঠকের পর প্রায় সাত মাস অতিবাহিত। আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রথম দিন থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেছেন। এমনকি ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের যে বৈঠক হয় সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে জোট নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার কথা বলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হলেও কংগ্রেসের তরফে কোন উচ্চবাচ্য দেখা যায়নি। এমনকি ২০ জানুয়ারি আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা জোটের সব শর্ত মেনেছি। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। এখন ২১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের তরফে কোনও আলোচনার জন্য যোগাযোগ করা হয়নি। এরইমধ্যে, প্রত্যেকদিন অধীর চৌধুরী তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন। ইডি, সিবিআই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর বক্তব্যে শুধুই তৃণমূল বিরোধিতা। ডেরেকের মন্তব্য, মোদি-শাহের সুর শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গলায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফর্মুলা অনুযায়ী যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী লোকসভা নির্বাচনে তারাই লড়াই করবে। কংগ্রেসকে দুটি আসন ছাড়ার কথা বলা হলেও তাদের তরফে আরো বেশি সংখ্যক আসনের দাবি জানানো হয় বলে বক্তব্য তৃণমূলের। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা হয়েছিল আলোচনার জন্য। লোকসভার দিন ক্রমশ এগিয়ে এলেও সে সংক্রান্ত কোনো আলোচনার সম্ভাবনা দেখা যায়নি কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে। ফলস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা রাজ্যে তারা একাই লড়বে। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় স্তরে জোট নিয়ে ডেরেক ও’‌ব্রায়েন বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর যদি দেখা যায় কংগ্রেস নিজেদের কাজ করতে পেরেছে এবং উপযুক্ত আসন সংখ্যা নিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ফ্রন্টের অত্যন্ত কাছের লোক হবে যারা লড়াই করবে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। যদিও ইতিমধ্যেই সুর নরম করে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ বলেছেন, ইন্ডিয়া জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কল্পনাই করা যায় না।

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...