সন্দেশখালিতে (Sandeskhali) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কর্তব্যরত আইপিএস (IPS) অফিসার যশপ্রীত সিংকে (Jaspreet Singh) খালিস্তানি মন্তব্যের প্রতিবাদে শহর জুড়ে মিছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP)। বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুতোষ কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। এছাড়াও মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ঘোষ, তৃণমূলের ছাত্র নেত্রী রাজন্যা হালদার, দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ছাত্র যুব নেতা স্বার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্টরা। এদিনের মিছিল থেকে অবিলম্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলা হয়। তবে মিছিলে শিখ (Sikh) সম্প্রদায়ের মানুষদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের মিছিল ভবানীপুরের গুরুদ্বারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

তবে শুধু কলকাতাতেই নয়, এদিন রাজ্যের একাধিক প্রান্তে শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যে তাঁদের দাবিতে পথে নেমেছেন শিখ সম্প্রদায় ও সংগঠনের মানুষজন। এদিন আসানসোলেও মিছিল করে তৃণমূলের। আসানসোলের গোধূলি মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে পা মেলান আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও জামুরিয়ার বিধায়ক হরে রাম সিং, পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, গুরুদাস চ্যাটার্জি-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি এদিনের মিছিলে শিখ সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ অংশ নেন।


পাশাপাশি এদিন দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড থেকে কাইজার লেন পর্যন্ত একটি ধিক্কার মিছিল হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থ দেয়াশি, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক ও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুর্গাপুর মহাবিদ্যালয় ও আইটিআইয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
