Tuesday, August 26, 2025

দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট!

Date:

Share post:

স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে স্বামীর সাজা হয়েছিল। সেই মামলার নিস্পত্তি করতে লেগে গেল ৩০ বছর! এত বছর পর ‘রায়’ খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এরপরই বিচারপতি বলেন যে শুনানি শুরু হতেই যে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট লাগলো তার জন্য ৩০ বছর ধরে চলল মামলা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জিবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের (Justice GB Pardiwala and Manoj Mishra) বেঞ্চের মন্তব্য, দেশের ফৌজদারি বিচার (criminal justice system) ব্যবস্থা নিজেই যেন এক মূর্তিমান শাস্তি।

১৯৯৩ সালের এক মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্বামী ও নিকট আত্মীয়রা অর্থের জন্য প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা করতেন । এমনকি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে আদালতে যান তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এরপর ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্ত স্বামীর সাজা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। স্বামী তা চ্যালেঞ্জ করে যান সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় জিবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র হেনস্থা করার অভিযোগ যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত সেখানে সরাসরি কোন কিছু করেছেন সেটা প্রমাণ করতে হবে। বিষয়টি সন্দেহাতীত না হলে সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত বলেও আদালত জানায়। এরপরই দুই বিচারপতির মন্তব্য, ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩০৬ ধারা অনুসরণে আবেদনকারীকে সাজা দেওয়া যে অনুচিত, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট লাগল। অথচ সেই মামলার রেশ চলল এত বছর ধরে। দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সত্যিই মূর্তিমান সাজার সমান।


spot_img

Related articles

নর্তকী থেকে প্রৌঢ়া, একদিনে তিন ‘মৃত্যু’ আনন্দপুরে

একইদিনে তিন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আনন্দপুর থানা এলাকায়। তিনটি দেহের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের...

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...

সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও...