Sunday, August 24, 2025

আবাসের টাকা নিয়ে মোদির মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস অভিষেকের

Date:

Share post:

রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে দিল্লির দরবারে সরব হওয়ায় পথ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর অনেক গঙ্গায় অনেক জল গড়ালেও কেন্দ্রের যুক্তিহীন বঞ্চনার শিকার হয়ে ভুগছে বাংলার মানুষ। তারওপর রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঙুল তুলছেন বাংলার দিকেই, বঞ্চনার দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন তিনি। লোকসভার প্রথম ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাকে দেওয়া টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ করলেন আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

মার্চের শুরুতে ইতিমধ্যেই চারটি সভা করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে রাজ্যের বকেয়া মেটানো নিয়ে কোনও বার্তা তো শোনা যায়নি তাঁর মুখে। উল্টে রাজ্যের অংশীদারিত্বে তৈরি প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন করে কেন্দ্রের কৃতিত্ব নিতে চেষ্টা করেছেন। আবার আবাস, একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্পে রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তারই পাল্টা রবিবারের ব্রিগেড মঞ্চ থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর ডেইলি প্যাসেঞ্জারিকে কটাক্ষ করে বলেন, “২০২১ সালের মে মাসের ২ তারিখে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছিল। তারপর থেকে কবার বাংলায় এসেছে? বাংলা তো ভারতবর্ষের অধীনেই। বাংলাকে তো আপনারা বাংলাদেশ করে দেখছেন। আপনি সব জায়গায় গিয়েছেন বাংলায় আসেননি। কারণ বাংলা আপনাদের কাছে মাথা নোয়ায়নি।”

বাংলার প্রতি মোদির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার পরই বঞ্চনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভাসন দিতে এসে বলে গিয়েছেন গত তিন বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা বাংলা আবাসের জন্য দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠির প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল। গত তিন বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি প্রমাণ করতে পারে গত তিন বছরে আবাসের একটা টাকা দিয়েছে আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না। আমি চ্যালেঞ্জ করে গেলাম।”

সেই সঙ্গে নিজের বক্তব্যের প্রমাণ হিসাবে রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো চিঠিও দেখান তিনি। আবার প্রধানমন্ত্রীকে তিনি সুযোগও দেন নিজের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দেওয়ার। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পদের মর্যাদা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করছি, পরেরবার যখন বাংলায় আসবেন গত তিনবছরে কত টাকা একশো দিনে, কত টাকা আবাসে দিয়েছেন তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন।” এমনকি তথ্য পেশ করার জন্য সামনা সামনি আসারও চ্যালেঞ্জ দেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...