ফের বিতর্কে গায়ক রূপঙ্কর বাগচী । স্থানীয় পোস্ট অফিসে আধার কার্ডের আপডেট করতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, সরকারি কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন গায়কের স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ি। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই, পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায়, সব দায় ডাকঘর কর্মীদের ওপর চাপিয়েছেন রূপঙ্করের স্ত্রী। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ডাকঘর কর্মীদের দাবি,বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জনৈক চৈতালি লাহিড়ি এসে আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য থাকা কর্মীকে বলেন উনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দফতর থেকে আসছেন, ওনাকে তক্ষুনি সেটি করে দিতে হবে।

আধার কর্মী জানিয়ে দেন, তিনি করে দেবেন কিন্তু আগে যারা সেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের করে তারপর। তাঁদের টপকে আগে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব নয়, অন্তত নীতিগতভাবে তো নয়ই। এরপরই ওই কর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে অহঙ্কারবশত বাগচিবাবু ভুলে যান যে উনি একজন কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে কী ব্যবহার করছেন, তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। এরপরই চৈতালিদেবী রূপঙ্করকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের সকলেই রূপঙ্কর-চৈতালীর ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

যদিও অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ চৈতালিদেবী মানতে চাননি। তার মন্তব্য, বিষয়টাকে ট্যুইস্ট করা হয়েছে। আমাদের নাটক দেখতে যাওয়ার কথা ছিল সেদিন। রূপঙ্কর বাইরে গাড়িতে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে বসেছিল। অনেক সম. লাগছে দেখে পোস্ট অফিসের ভিতরে আসে এবং ঢুকে দেখে ৪-৫জন মিলে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন। সেটা দেখেই রূপঙ্কর আমাকে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে, কী হচ্ছেটা কী এখানে? সেটা ও রেগে আমাকে বলেছে। পোস্ট অফিসের কোনও কর্মীকে আক্রমণ করেনি। আমি ওকে থামিয়ে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসাই এরপর। এই সমস্ত ঘটনাগুলোকে অন্যভাবে ওই পোস্টে লেখা হয়েছে। তার আরও দাবি, তারপরও কিন্তু ওই পোস্ট অফিসের কর্মীরা আমাকে ওখানকার স্কিম বুঝিয়েছেন। আমি সময় নিয়ে কাজ করে ফিরেছি।
