সম্প্রতি বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যের নজির রেখে দলমত নির্বিশেষে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন সকলেই। ব্যতিক্রমী ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মাতৃসম মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে কুরুচিকর ভাষা ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন শুভেন্দু।

যেমন বেটা, তেমন বাপ! ছেলে শুভেন্দুর পথেই হেঁটেই মমতা মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন শিশির অধিকারী। বিজেপির প্রচারে শিশিরের আলটপকা মন্তব্য, বিধানসভা ভোটের আগে বিরুলিয়ায় যদি সত্যি শুভেন্দুর হামলায় মমতা জখম হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি বাঁচতেনই না। শিশিরের কথায়, “ভোট এলেই অঙ্গে আঘাত হয়। বিধানসভা ভোটের আগে বললেন নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতে পায়ে মেরে দিল শুভেন্দু। শুভেন্দু মারলে বাঁচবে না কেউ। সেটা আমরা চোখে দেখেছি নন্দীগ্রামে।” তাঁর এমন মন্তব্য নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, “সাংসদ শিশির অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহাস করে তাঁর ছেলের পথ অনুসরণ করেছেন। অদ্ভুত গর্বের সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিলেন যে যদি তার ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার সহযোগীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করত, তাহলে তিনি বাঁচতে পারতেন না।” শিশির অধিকারীর একন বক্তব্যের ভিডিওটিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তৃণমূল। সেই ভিডিও পোস্ট করে নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়।

এখানেই শেষ নয়। অধিকারী পরিবারকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের বলছে, “অহংকার ও নিষ্ঠুরতার এই ঘৃণ্য প্রদর্শন অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিফলন ঘটায়।’ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলেও মত তৃণমূলের। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের ভয় দেখানোর কাজগুলি নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়া উচিত৷ এই ধরনের আচরণের নিন্দা করার জন্য তাঁদের দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।
