Monday, August 25, 2025

ঘণ্টার পর ঘণ্টা না খেয়ে আছেন? জানেন, মৃত্যুর ঝুঁকি ৯১%!

Date:

Share post:

‘মুড সুইং’ শব্দটার সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে খাদ্যাভ্যাসের উপর। মানে মন মেজাজ ভাল না থাকলে কখনও এটা ওটা খেয়ে মুড ঠিক করতে ইচ্ছে হয়। আবার কখনও কিছুই মুখে তুলতে ভাল লাগে না। কেউ কেউ আবার ওজন কমাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইচ্ছে করেই খাবার স্কিপ করেন। এতদিন পর্যন্ত এই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ বা ‘টাইম রেস্ট্রিকটিভ ইটিং’ (Time Restrictive Eating)বেশ উপযোগী মনে হলেও ইদানিং এই থিওরি ধোপে টিকছে না। বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯১% বেড়ে যেতে পারে!

আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের (Heart Association of America) বৈজ্ঞানিক সেশনে সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রের অ্যাবস্ট্রাক্ট পেশ করা হয়েছে। চিনের সাংহাই জিয়াও তোং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের (Shanghai Jiao Tong University School of Medicine) প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁরা এই ধরনের খাদ্য অভ্যাস মেনে চলেন বিশেষ করে ১৫-১৬ ঘণ্টা খাবার না খেয়ে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে প্রায় ৯১ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে! যদিও এর ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে এই কথা বলা হচ্ছে না তবে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (Intermittent fasting) যাঁরা মেনে চলেন তাঁদের খাদ্য সংক্রান্ত তেমন বিধি নিষেধ থাকে না। এ ক্ষেত্রে দিনে ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা, অর্থাৎ প্রায় ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করতে হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধরনের ডায়েটে দীর্ঘসময় শরীরে খাবার প্রবেশ করছে না। এর ফলে জমে থাকা পুষ্টিদ্রব্য ব্যবহার করে শক্তি উৎপন্ন করছে শরীর। সাধারণ কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন মেটাবলিজ়ম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ এটা করতে গিয়ে শরীর ক্যাটাবলিক পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে এবং পেশীক্ষয় শুরু হচ্ছে। রক্তে যথাযথ ভাবে অক্সিজেন পৌঁছছে না, হৃদ্স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রায় ২০ হাজার পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এই ধরনের ডায়েটে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯১% কাছাকাছি বেড়ে যেতে পারে। তবে এখনই আশঙ্কার কিছু নেই, কারণ এটি স্রেফ প্রাথমিক এক পর্যায় বলে গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে। আরও অনেক রিসার্চ বাকি আছে। তারপরই নিশ্চিত করে এই সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব হবে।

spot_img

Related articles

দার্জিলিংয়ে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তাকদায় সূচনা নতুন দিগন্তের

চলতি সপ্তাহেই নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। প্রথমবারের জন্য পাহাড় পাচ্ছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে...

ঘোষণা ছাড়াই টালিগঞ্জ থেকেই ঘুরছে মেট্রো! স্বস্তি উড়েছে যাত্রীদের

কথা দিয়ে কথা রাখছে না মেট্রো! কোনও ঘোষণা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রেন চালাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষোভ...

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...