বিরোধীদের উপর বাড়ছে কেন্দ্রের আক্রোশ। বিজেপি সরকারের (BJP Government)’আজ্ঞাবহ ভাড়াটে’র মতো কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Agency)। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বৃহস্পতিবার রাতে যেভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)গ্রেফতার করেছে ইডি (ED),তার তীব্র বিরোধিতা করে এদিন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ-এর পক্ষ থেকে কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ‘রাজনৈতিক গুন্ডা’ হিসেবে ইডিকে (ED)ব্যবহার করার জন্য বিজেপি সরকারের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। সমাবেশ থেকেই শোনা যায়,’মোদি হাটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান ।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধীদের জেলে ঢুকিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীরা। কলকাতাতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আপ কর্মীরা। কলেজ স্ট্রিটের বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনেদেশ বাঁচাও গণমঞ্চ-এর পক্ষ থেকে সভায় উপস্থিত অধ্যাপক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দলগুলোকে দুর্বল করার জন্য ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টকে ব্যবহার করছে। তাঁর কথায়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধীদের জেলে ঢুকিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের তরফে তেজস্বী যাদব বা অখিলেশ যাদবের এমনকি বড় কোনও তৃণমূল নেতার গ্রেফতারিরও আশঙ্কাও করা হয়।

সভায় উপস্থিত সুমন ভট্টাচার্য (Suman Bhattacharya) বলেন, সিবিআই ও ইডি এখন ব্যবসায়ি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইলেক্টোরাল বন্ড কিনতে বাধ্য করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজি করছে বিজেপি, অভিযোগ তাঁর। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এবার বিজেপিকে না সরালে পরবর্তীকালে দেশের সংবিধান বদলে দেবে এই সরকার।
