নিটের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা, কোটায় ফের পড়ুয়া মৃত্যু!

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন চোখে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজস্থানের কোটায় (Kota, Rajasthan)গেছিল ২০ বছরের উরুজ (Uruj)। কিন্তু স্টেথোস্কোপ কানে রোগী দেখার আগেই পোস্টমর্টেম টেবিলে পৌঁছে গেল তাঁর নিথর দেহ। আত্মঘাতী পড়ুয়া চোখের জলে ভাসিয়ে গেল পরিবারকে। কিন্তু কেন এই চরম পদক্ষেপ, উত্তর নেই কারোর কাছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার অন্যতম ‘কোচিং হাব’ এই কোটায় চলতি বছরে ছাত্র মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭। চিন্তায় অভিভাবকরা।

উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার বাসিন্দা ছিলেন উরুজ বছর দুই আগে নিটের প্রস্তুতি নিতে কোটায় গিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। জওহরনগর এলাকার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন পড়ুয়া মঙ্গলবার সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় উরুজের ঝুলন্ত দেহ। সকাল থেকেই ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। মা বাবার সন্দেহ হওয়ায় সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাড়ির মালিক জানতে পেরে দরজা ধাক্কা দিলেও উরুজ সাড়া দেননি। পরে পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মেলেনি কোনও সুইসাইড নোট।তাহলে কি পড়াশোনার ‘অমানুষিক’ চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী পড়ুয়া নাকি অন্য কিছু? ২০২৩ সালেও ২৯ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন কোটায়। ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ১৫। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থান সরকারের তরফে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ কমানোর জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা বলা হলেও তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।