প্রতিটি ভোটার গুরুত্বপূর্ণ, তাই রাজস্থানের মরুভূমি থেকে ত্রিপুরার প্রত্যন্ত দ্বীপেও পৌঁছাতে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India)। নির্বাচনকর্মীদের উৎসাহ দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের নায়কের ভূমিকাতেও বসিয়েছে কমিশন। এই প্রত্যন্ত এলাকার ভোটকর্মীদের সঙ্গে কমিশনের যোগাযোগের সহজ মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। আর বিকল্প আরটি সেট (RT set)। তবে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে আরটি সেটের উপর ভরসা করে কী বিপদকালীন পরিস্থিতি (emergency situation) সামলানোর কথা ভাববেন কমিশন? পুরুলিয়ার ৮৭ বুথের ক্ষেত্রে তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা, যেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক কাজ করে না।

পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদী উপদ্রুত ছিল। ফলে এই এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের শ্যাডো জোনে (shadow zone)। চাটুহাসা পঞ্চায়েত থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের ধানচাটানি গ্রাম, সর্বত্রই ভোটারদের কথা ভেবে নির্বাচনী বুথ করা হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভোটারদের বসতি এলাকার দু কিলোমিটারের মধ্যে নির্বাচনী বুথ থাকতে হবে। ফলে এবার বুথের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু পুরুলিয়ার মাওবাদী প্রভাবিত অযোধ্যা পাহাড় এলাকা নিরাপত্তার কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কের শ্যাডো জোন।

নেটওয়ার্ক শ্যাডো জোনে ৮৭টি বুথ থাকছে। সেই বুথের কর্মীদের যোগাযোগের জন্য ফিরে যেতে হবে সেই পুরোনো যোগাযোগের মাধ্যমে। নিরাপত্তা বা ভোটার, যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে তাঁরা নিকটবর্তী সরকারি পরিষেবা বা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন আরটি সেটের মাধ্যমে। তবে শুধু খবর দেওয়া নেওয়া নয়, পুরুলিয়ার এই সব কেন্দ্রে যোগাযোগও বিশেষ সহজ নয়। মাওবাদী অধ্যুসিত হওয়ায় রাস্তাঘাট অসম্পূর্ণ। কোথাও আবার ঘন জঙ্গল পেরিয়ে পৌঁছাতে হবে বুথে।
